বিয়ে কিংবা যে কোনো অনুষ্ঠানে বাঙালিরা উপহার হিসেবে সোনার গহনা দিতে পছন্দ করে। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ভারতে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে মূল্যবান এই ধাতুর। সেই ধারিবাহিকতায় সোমবার (১ এপ্রিল) কলকাতায় প্রতি ১০ গ্রামে সোনার দাম এক ধাক্কায় বাড়লো ১৮০০ রুপি।
Advertisement
এদিন কলকাতায় ১০ গ্রাম হলমার্কযুক্ত সোনা ৬৫ হাজার ৭০০ রুপি, ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা ৬৯ হাজার ৩৮০ রুপি ও ১০ গ্রাম পাকা সোনা ৬৮ হাজার ৭৫০ রুপিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি ১০ গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনার বার ৬৩ হাজার ৬০০ রুপি ও ১৮ ক্যারেট সোনা ৫২ হাজার ৪০ রুপিতে বিক্রি হয়েছে।
সোনার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রুপার দামও। সোমবার এক কিলোগ্রাম রুপা ৭৫ হাজার ৭১০ রুপিতে বিক্রি হয়েছে।
পবিত্র রমজান মাস শেষে সামনেই ঈদুল ফিতর। এরই মধ্যে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। ঈদে পোশাকের সঙ্গে অনেকেই সোনার গহনা নিতে চান। কিন্তু হঠাৎ এই মূল্য বৃদ্ধিতে সোনার অলঙ্কার কেনার আগ্রহে ভাটা পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Advertisement
ব্রিক্রেতার জানিয়েছে, সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় ঈদের কেনাকাটায় জামা-কাপড়, ইমিটেশন, কসমেটিকস থাকলেও তালিকা থেকে বাদ পড়ছে সোনার গহনা। আর ক্রেতারা বলছে, এবারের ঈদ ইমিটেশনের গহনা দিয়েই চলুক। পরে সোনার গহনার কথা ভাবা যাবে।
সোনার দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে বিক্রি কমায় বিপাকে পড়েছেন সোনার দোকানীরা। তারাও মূলত ঈদের অপেক্ষায় থাকেন, কারণ এ সময় তাদের বিক্রি বেড়ে যায়। তাদের ধারণা, ঈদের পরে বাংলা নববর্ষেও সোনার দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।
চলতি চৈত্র মাস শেষে সামনেই বৈশাখ মাস, শুরু হবে বিয়ের মৌসুম। এই মুহূর্তে সোনার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পাত্র-পাত্রী উভয় পক্ষেরই।
এই রেকর্ড দাম বৃদ্ধি পর কবে কমবে দাম তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে চলতি বছরের মাঝামাঝি কিংবা শেষদিকে দাম কমতে পারে জানিয়েছেন কলকাতার বউ বাজারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিতাই সাহা।
Advertisement
এই রেকর্ড দাম বৃদ্ধি পর কবে কমবে দাম তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি।তবে সম্ভাবনা চলছে বছরের মাঝামাঝি সময়ে কিংবা বছরের শেষে দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছেন, কলকাতার বউ বাজারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিতাই সাহা।
কলকাতার কাছেই সোদপুরের বাসিন্দা ৭১ বছর বয়স দিপালী দেবনাথ জানান, আমি আমার মেয়ের ২০০৩ সালে বিয়ের সময় সোনার গহনা বানিয়েছিলাম। তখন ১০ গ্ৰামের দাম ছিল ৬ হাজার রুপি। এখন সেই দাম বেড়ে প্রায় ৭০ হাজার রুপি হয়েছে। তখন যদি আরও বেশি পরিমাণে সোনা কিনে রাখতাম, তাহলে এখন লাভই হতো।
ডিডি/এসএএইচ