ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় চার মাসের শিশুসহ তিনজন নিখোঁজ হয়েছেন। ইতালীয় বার্তা সংস্থা আনসা এ তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
জার্মান দাতব্য সংস্থা কম্পাস কালেকটিভ জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগরে বিপদগ্রস্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারে নিয়োজিত তাদের জাহাজ ট্রোটামার-৩র নাবিকেরা গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় একটি নৌকা দেখতে পান। ছোট্ট নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি মানুষ ছিলেন।
নৌকার আরোহীদের উদ্ধার অভিযানের সময় ওই তিনজন পানিতে পড়ে যান। নৌকাটিতে মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩১ জনকে উদ্ধারের পর ট্রোটামার-৩ জাহাজে তোলা হয়। বাকি ১১ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নেওয়া হয় ইতালীয় উপকূলরক্ষীদের জাহাজে।
নিখোঁজ তিনজন মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে, তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইতালীয় উপকূলরক্ষীদের টহল জাহাজ।
Advertisement
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে কোন কোন দেশের নাগরিক ছিলেন তা এখনো জানা যায়নি।
এর আগে, গত ২২ মার্চ রাতে ৪৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে আসা একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ৪৪ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ হয় ১৫ মাস বয়সী একটি শিশু।
উত্তর আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দিয়ে ইউরোপ পৌঁছানোর বিপজ্জনক যাত্রায় প্রায়ই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটছে। এসব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে সমুদ্র চলাচলের অনুপযোগী নৌকার ব্যবহার, ধারণক্ষমতার বেশি মানুষকে নৌকায় তোলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
উন্নত জীবনের আশায় প্রতি বছর বহু অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। তাদের বেশিরভাগই যাত্রা শুরু করেন উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া ও তিউনিশিয়া থেকে।
Advertisement
অভিবাসনের ক্ষেত্রে ভূমধ্যসাগরীয় এই রুটকে সবচেয়ে মারাত্মক হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম। ২০২৩ সালে এই পথে অন্তত ৩ হাজার ১২৯ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টসকেএএ/