ঈদুল ফিতরের আগে ৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ছুটি থাকছে না। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ঈদের আগে ৯ এপ্রিল ছুটির সুপারিশ করলেও তা নাকচ করে দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Advertisement
সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক জাগো নিউজকে ৯ এপ্রিল ছুটি না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন:
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভা বলেছে, এমনিতেই এবার বেশ অনেক দিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে। এরমধ্যে ৯ এপ্রিল ছুটি দেওয়া হলে ছুটি দীর্ঘ হয়ে যাবে। এতে কাজে স্থবিরতা নামতে পারে। তবে যারা দূরে ঈদ করতে যাবেন তারা তো চাইলে ছুটি নিতে পারেন। তাদের সেই অধিকার আছে।’
এখন ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তবে সরকার রমজান ৩০ দিন ও ঈদুল ফিতর ১১ এপ্রিল হচ্ছে ধরে আগামী ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি নির্ধারণ করে রেখেছে। এরপর ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল (রোববার) নববর্ষের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকুরেরা।
তবে ঈদের আগে ৭ এপ্রিল (রোববার) শবে কদরের ছুটি রয়েছে। শবে কদরের ছুটির পর ৮ ও ৯ এপ্রিল (সোম ও মঙ্গলবার) অফিস খোলা। ১১ এপ্রিল ঈদ হলে বাড়ি যেতে মাত্র একদিন (১০ এপ্রিল) সময় পাওয়া যাবে, তাই ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ৯ এপ্রিলও ছুটি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রথম বৈঠকে মন্ত্রিসভা কমিটি এ সুপারিশ করে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক।
ছুটি না বাড়ানো নিয়ে যা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
Advertisement
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘ক্যালেন্ডারে আমাদের যেভাবে ছুটি দেওয়া আছে, ওই ভাবেই ছুটিটা থাকবে। ৮ এবং ৯ এপ্রিল অফিস খোলা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ওখানে (মন্ত্রিসভার বৈঠক) আলোচনা হয়েছিল। বিস্তারিত আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তই হয়েছে।’
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এবার দেখা যাচ্ছে যে রমজান মাসের আগে দুটি মাসে ২৯ দিন ছিল। সাধারণত পরপর তিনটি মাস ২৯ দিন হয় না। এটা হলো সাধারণ বিষয়। এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের যে রিপোর্ট, সেটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে এ বছরের রমজান আমাদের ৩০ দিনে হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের ঐচ্ছিক ছুটির একটা ব্যবস্থা আছে। যারা ঐচ্ছিক ছুটি নিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করবেন, তারা তো নিতেই পারবেন। এটার জন্য আলাদা নির্দেশ দেওয়ার দরকার নেই। এটা আমাদের ছুটি বিধিতেই আছে। প্রতিবছর আমরা যখন ক্যালেন্ডারটা করি সেই ক্যালেন্ডারটির নিচে লেখা থাকে ঐচ্ছিক ছুটির কথা।’
আরএমএম/জেএইচ/জেআইএম