বিনা সংগ্রামে মুক্তি আসে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, জাতির মুক্তির জন্য আরেকটিবার বুক সটান করে দাঁড়াতে হবে।
Advertisement
শফিকুর রহমান বলেন, যারা ক্ষমতায় আছেন আমরা তাদের শত্রু নই। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত দেন। আমাদের ওপর আঘাত এলে তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আমার আছে। কেউ পায়ে পাড়া দিয়ে বিবাদ করতে এলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সরকারি দলের লোকেরা রাজনীতি করার অধিকার রাখলে দেশের সব নাগরিক সাংবিধানিকভাবে সে অধিকার রাখে। আল্লাহ আমাদের ইহকাল ও পরকালে মুক্তি দান করুন।
শনিবার (৩০ মার্চ) এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজ বিগত আটটি বছর আমরা সবাই মিলে ইফতার মাহফিলের সুযোগ পাইনি। আজকের ইফতার আয়োজন নিয়েও প্রতিকূলতা ছিল।
Advertisement
জমায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে যারা জীবন দিয়েছেন আল্লাহ যেন তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করেন। অসংখ্য সহকর্মী জেলে গেয়েছেন জীবন দিয়েছেন। সাত বছরের শিশুও রেহাই পায়নি। আমরা মনে করি সবকিছুর একটা সীমা আছে। কেউনি চূড়ান্ত ক্ষমতা দখল রাখতে পারে না।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের আমন্ত্রণে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন।
জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দের সঞ্চালনায় দলটির নেতাদের মধ্যে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, আনম শামসুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, শাহজাহান চৌধুরী, নূরুল ইসলাম বুলবুল, মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ইজ্জত উল্লাহ, আবদুর রব, মোবারক হোসাইন, আবদুর রহমান মূসা, আবদুস সবুর ফকির, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) অলি আহমদ, বিএনপির জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নাল আবেদীন, মো. আবদুস সালাম, মজিবুর রহমান সারোয়ার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কায়সার কামাল, জহির উদ্দিন স্বপন, অপর্ণা রায়, মিডিয়া সেলের শায়রুল কবির খান, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের নূরুল আমিন বেপারী ও শাহ আহমেদ বাদল, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির (জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান, এনডিপির ক্বারী আবু তাহের, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নূরুল হক নূর, অপর অংশের ফারুক হাসান, ইসলামী ঐক্যজোটের অধ্যাপক আবদুল করিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জাকির হোসেন খান, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এবি পার্টির যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
কেএইচ/ইএ/জেআইএম