পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই ইফতার মাহফিল করেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। তবে বাধা দেওয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দলটির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী।
Advertisement
শনিবার (৩০ মার্চ) উপজেলা শহরের নলডাঙ্গা সড়কে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। আয়োজকদের পক্ষ থেকে সব কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে ছিল। তার আগেই কালীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাহফিল বন্ধের নির্দেশ দেয়। মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই সেখানে তিন শতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান নেন। এরপর সেখানে নতুন করে আর কোনো নেতাকর্মী প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে ইফতার করেন।
ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমান কুন্ডু, কেন্দ্রীয় ড্যাব নেতা ইব্রাহিম রহমান বাবু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদসহ জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় বিকেলে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী এক ভিডিও বার্তায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বর্তমান ডামি সরকারের পুলিশ বাহিনী ইফতার মাহফিল, দোয়া অনুষ্ঠানে বাধা দেয়। শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেন নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হতে না পারে। তারা ধর্মীয় কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে বর্তমান সরকার যে স্বৈরাচার সরকার তা আবারও প্রমাণ করেছে।
Advertisement
তবে, পুলিশের দাবি, ইফতার মাহফিল আয়োজনের জন্য পুলিশের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, আমরা মাহফিল আয়োজনের এক সপ্তাহ আগেই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলাম।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ বলেন, আমরা মাহফিল আয়োজনের এক সপ্তাহ আগেই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি। আমাদের নির্ধারিত দিন শনিবার আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। তখন কালীগঞ্জ থানার পুলিশ এসে বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ বলেন, বড় পরিসরে দলীয় কোনো আয়োজন করতে হলে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা কোনো অনুমতি নেননি। অনুমতি না নিয়েই তারা ওপেন প্লেসে প্রায় তিন হাজান মানুষ নিয়ে আয়োজন করেছেন। যে কারণে তাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসআর/জেআইএম
Advertisement