দেশজুড়ে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তীব্র হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সংকট

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তীব্র হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সংকট

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দিন দিন তীব্র হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সংকট। ফলে সরকারের কর্মসূচির চলমান প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিনামূল্যে সরকারি সেবা না পেয়ে গর্ভনিরোধ পদ্ধতি ব্যবহারে বিমুখ হতে পারেন বলে ধারণা করছে সচেতন মহল।

Advertisement

প্রজনন নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ে সক্ষম দম্পতিদের কাছে খাবার বড়ি, ইনজেকশন, কনডম, আইইউডি (ইন্ট্রা ইউট্রাইন ডিভাইস), লাইগেশনসহ অন্য সামগ্রী সরবরাহ করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। তবে কিছুদিন থেকে প্রয়োজনের সময় বিবাহিতদের এসব সামগ্রী দিতে পারছেন না প্রতিষ্ঠানটির মাঠকর্মীরা। এতে জেলার মানুষ বিনামূল্যের এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জেলার গোমস্তাপুর ছাড়া অন্য কোনো উপজেলায় কনডম নেই। সুখী বড়ি গোমস্তাপুর আর ভোলাহাট ছাড়া বাকি তিন উপজেলা, ইসিপি খাবার পিল ভোলাহাট ছাড়াসব উপজেলায় সংকট রয়েছে। নরমাল ডেলিভারি কিট চারটি উপজেলায় থাকলেও একটিও নেই ভোলাহাটে।

পুকুরিয়া এলাকার আলি হাসান বলেন, পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েকদিন ধরে যোগাযোগ করছি কনডম নেওয়ার জন্য। কিন্তু তাদের গুদামে নাকি কনডম নেই। তাই দিতে পারছেন না।

Advertisement

মিজানুর রহমান নামে এক শিক্ষক বলেন, গুণগত মান আর বিনামূল্যে জন্মনিয়ন্ত্রণে সরকারি সামগ্রী ব্যবহার করে দাম্পত্য জীবনে মানুষ সচেতন হয়েছিলো।

আসরাফুল নামে একজন বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতিতে মানুষ খাবার জোগাড়ের চেষ্টাটাই আগে করবে। এ সময়ে নিম্নআয়ের মানুষরা বাজার থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী কিনে ব্যবহার করবে না।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবার পরিকল্পনায় এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে জেলায় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সঙ্কট শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে এসব সামগ্রীর মজুদ কমে চরম সঙ্কট সৃষ্টি হয়। সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় কনডম, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের কোনো সরবরাহ নেই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে কমডম, ইনজেকশনসহ অন্যসব সামগ্রী সরবরাহ নেই। যার কারণে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আশা করছি কয়েকদিমের মধ্যে এ সঙ্কট কেটে যাবে।

Advertisement

সোহান মাহমুদ/এএইচ/জেআইএম