খেলাধুলা

১১ মাস পর ফিরছেন, দুইদিনের অনুশীলনে টেস্টে কেমন করবেন সাকিব?

পারফরম্যান্স বেশি খারাপ হয়ে যাওয়ায় অতি বড় টাইগার ভক্তও নাখোশ। সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হারায় কোনো অজুহাতই আর খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ।

Advertisement

তবে সিলেটে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে যে দল খেলেছে, তা ছিল পুরোই তারুণ্য নির্ভর। যে দলে ছিলেন না সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল আর তাসকিন আহমেদের মত অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত পারফরমাররা। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে যারাই বাংলাদেশ দলের প্রধান স্তম্ভ।

তাদের ছাড়া বাংলাদেশ টেস্ট দলের শক্তি কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছিল। এরকম এক দল নিয়ে সিলেটে দাঁড়াতেই পারেনি শান্তর দল।

তবে চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে সাকিব আল হাসান ফিরছেন। গত বছর এপ্রিলে মিরপুরের শেরে বাংলায় আয়ারল্যান্ডের সাথে শেষ টেস্ট খেলার ১১ মাস পর আবার সাদা পোশাকে মাঠে নামবেন সাকিব।

Advertisement

ইতিহাস জানাচ্ছে, এক বছর আগে আইরিশদের সাথে শেষ টেস্টের শেষ ইনিংসেও সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছিল ৯৪ বলে ৮৭ রানের এক সাবলীল ও আক্রমণাত্মক ইনিংস। যার ৫৬ রান এসেছিল শুধু বাউন্ডারি থেকে।

ওই ইনিংসের ঠিক ২ ইনিংস আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সাকিব করেছিলেন ৮৪ রান। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১ রানে ফিরলেও দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৮ বলে সমান ৬টি করে ছক্কা ও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৮৪ রানের সাহসী ইনিংস খেলেছিলেন ‘চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার’ সাকিব।

বন্দরনগরীর সেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এক বছর আগের সে টেস্টে অবশ্য বোলার সাকিবের কোনো সুখস্মৃতি নেই। প্রথম ইনিংসে ১২ ওভারে ২৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য, পরের ইনিংসে বল করেননি।

গত এক বছরে তিনি টেস্টই খেলেননি। তাই দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও অংশ নেওয়ার প্রশ্ন আসে না। তবে এবার বিপিএলে বল ও ব্যাট হাতে মোটামুটি ভালো খেলেছেন সাকিব।

Advertisement

এরপর প্রিমিয়ার লিগেও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে ৩ খেলায় ব্যাট (১৯, ৩৪ ও ৫৩ = ১০৬ রান) ও বল হাতে (৩/৩৯, ১/৪৭, ২/১৪= ৬ উইকেট) মোটামুটি সফল সাকিব। ইতিহাস বলছে, অতীতে একবার দুবার নয়, বহুবার এভাবে হঠাৎ স্বল্প প্রস্তুতিতে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে ফিরেই বাজিমাত করেছেন চ্যাম্পিয়ন সাকিব। দেখা যাক, এবার মাত্র ২ দিন জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করে ১১ মাস পর টেস্টে কেমন করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

এআরবি/এমএমআর/এএসএম