অর্থনীতি

অর্ধেকে নেমেছে তরমুজের দাম, তবুও ক্রেতা কম

তরমুজের দাম অনেকটা কমেছে। রোজার শুরুতে তরমুজের যে দাম ছিল, তা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমেছে। এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে মিলছে প্রতি কেজি তরমুজ। কোথাও কোথাও ৪০ টাকা দরেও পাওয়া যাচ্ছে। আবার কোথাও প্রতি পিস বড়োসড়ো তরমুজ ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

ঢাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে বড় ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩৪০ থেকে ৪০০ টাকায়। মাঝারি সাইজের তরমুজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং ছোট তরমুজ ২০০ টাকার নিচেও কেনা যাচ্ছে।

তবে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তরমুজের দাম অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি তরমুজ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। কিন্তু দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তরমুজের দাম বেশ কমেছে। কারণ রোজার শুরুতে প্রতি কেজি তরমুজের দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা প্রতিকেজি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রামপুরা, মালিবাগসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুব ভালোমানের তরমুজ প্রতিকেজি ৪৫-৫০ টাকা। তবে ভ্যানে ও ফুটপাতে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। আকারে ছোট বা ৪-৫ কেজির তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রি করতে দেখা গেছে। সেক্ষেত্রে ১৫০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এ তরমুজ।

Advertisement

আরও পড়ুন

এবার ১০০ টাকায় মিলবে পাঁচ কেজির তরমুজ

সুরুজ মিয়া নামের একজন বিক্রেতা জানান, তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে। তবে সেই তুলনায় ক্রেতা নেই। আবার আগের থেকে পরিপক্ক তরমুজ মিলছে। ওজন করেও পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করছি, যে যেভাবে নেন।

আড়তে সারিসারি তরমুজ সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, তরমুজের সরবরাহ বেড়ে গেলেও বিক্রি বেশ কম। গেলো কয়েকদিনের তুলনায় দামও বেশ কমতির দিকে।

তবে খুচরা পর্যায়ে গিয়ে দাম বেড়ে যায় বলেও অভিযোগ করেছেন পাইকারি বিক্রেতারা। তারা বলছেন, আড়তে যে দামে তরমুজ মিলছে, সেই তুলনায় খুচরাই দাম কমেনি। তরমুজের কেজি ৩০ টাকার মধ্যে হওয়া দরকার।

Advertisement

এদিকে সুপারশপে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজিতেও মিলছে রসালো এ ফলটি। আর জেলা শহরগুলোতে তরমুজের দাম আরও কম। রাজধানীর বাইরে প্রতিকেজি তরমুজ ৩০ টাকা ধরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বেশি পরিমাণে তরমুজ বাজারে আসায় দ্রুত দাম কমতে শুরু করেছে। এছাড়া রোজার শুরুতে তরমুজের অস্বাভাবিক দাম হওয়ার কারণে অনেকে তরমুজ না কেনার জন্য প্রচার-প্রচারণা চালান। যাতে তরমুজের বিক্রি অনেক কমেছে।

এনএইচ/এমএএইচ/এএসএম