ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজার রাফায় আশ্রয় নেয়। এটি মিশর সীমান্তবর্তী এলাকা। এরই মধ্যে উত্তর ও মধ্য গাজাকে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন আন্তর্জাতিক সব চাপ উপেক্ষা করে রাফায়ও অভিযান চালাবে ইসরায়েল।
Advertisement
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি সেনাদের পরিবারের সদস্যদের বলেছেন, একমাত্র সামরিক চাপের মাধ্যমেই তাদের মুক্ত করা সম্ভব। তাছাড়া রাফায় সেনাবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন>
রাশিয়া ন্যাটোকে আক্রমণ করবে না, তবে এফ-১৬ দেখলেই গুলি: পুতিন জাতিসংঘে প্রস্তাব পাসে গাজা যুদ্ধ কি বন্ধ হবে?রাফায় স্থল অভিযানের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে উত্তর গাজা ও খান ইউনিস জয় করেছি।
Advertisement
এদিকে গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও দুইটি ইস্যু জারি করেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। সেখানে মৌলিক সেবা ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের নিশ্চিয়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩২ হাজার ৫৫২ জন নিহত হয়েছেন। আহাত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৯৮০ জন।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ গৃহীত প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা উচিত এবং ‘একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে রমজান মাসের প্রতি সব পক্ষেরই শ্রদ্ধা দেখানো উচিত’।
Advertisement
তবে যুক্তরাষ্ট্র গত ২৫ মার্চ পাস হওয়া ২৭২৮ নম্বর প্রস্তাবটিকে বাধ্যতামূলক নয় বলে বর্ণনা করেছে। তাদের যুক্তি, ওই প্রস্তাবে ‘যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে’ কথাগুলোর পরিবর্তে ‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করা হয়েছে’ অভিব্যক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব নয়।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম