খেলাধুলা

প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত

ইতিহাসে নাম লেখালেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বার্ষিক মূল্যায়ন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সৈকতকে এই সম্মাননা দিয়েছে।

Advertisement

২০০৬ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক প্যানেলে আছেন সৈকত। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে মিরপুরে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা শুরু করেন এই আম্পায়ার।

ছেলেদের ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে ১০টি টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে আর ৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন সৈকত। নারী ক্রিকেটেও অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে হয়েছে ১৩ ওয়ানডে এবং ২৮টি টি-টোয়েন্টি পরিচালনার অভিজ্ঞতা।

সৈকতের অভিজ্ঞতা আছে বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনারও। এর আগে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ২০১৭ এবং ২০২১ সালে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন, ২০১৮ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আম্পায়ার ছিলেন। ছেলেদের ক্রিকেটে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ার ছিলেন সৈকত।

Advertisement

আইসিসির এলিট প্যানেলে সুযোগ পেয়ে রীতিমত রোমাঞ্চিত সৈকত। তিনি বলেন, ‘আইসিসি এলিট প্যানেলে নাম লেখানো খুবই সম্মানের। আমার দেশ থেকে প্রথম হিসেবে প্যানেলে জায়গা করে নেওয়া আরও বেশি স্পেশাল। আমার প্রতি যে আস্থা দেখানো হয়েছে, তা প্রমাণ করতে মুখিয়ে আছি। আমি বছরের পর বছর ধরে মোটামুটি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এবং আরও চ্যালেঞ্জিং অ্যাসাইনমেন্টের জন্য প্রস্তুত।’

‘আইসিসি এবং বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে এবং আমার অন্যান্য সহকর্মীদের সাহায্য এবং নির্দেশনা দিয়ে সমর্থন জানানোয়। আমার পাশে দাঁড়ানো এবং সমর্থন করার জন্য আমি আমার পরিবার এবং বন্ধুদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

এদিকে আইসিসির এলিট প্যানেলে ম্যাচ রেফারির সংখ্যা সাত থেকে কমিয়ে ছয় করা হয়েছে। ক্রিস ব্রডকে ২০২৪-২৫ মৌসুমে রাখা হয়নি।

২০০৩ সাল থেকে আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকা ব্রড ১২৩ টেস্ট, ৩৬১ এবং ১৩৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। নারীদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পরিচালনা করেছেন ১৫ ম্যাচ। এছাড়া ছেলেদের চারটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং দুটি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পরিচালনা করেছেন ব্রড।

Advertisement

আইসিসি এলিট প্যানেল ম্যাচ রেফারি: ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), জেফ ক্রো (নিউজিল্যান্ড), রঞ্জন মাদুগালে (শ্রীলঙ্কা), অ্যান্ড্রু পাইক্রফট (জিম্বাবুয়ে), রিচি রিচার্ডসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), জাভাগাল শ্রীনাথ (ভারত)।

এলিট প্যানেল আম্পায়ার: কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গেফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওর্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড ক্যাটেলবোরো (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), আহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রেইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ (বাংলাদেশ), রডনি টাকার (অস্ট্রেলিয়া), জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।

এমএমআর/জিকেএস