লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে লিটন মিয়া (২০) নামের এক বাংলাদেশি তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। লিটনের মৃত্যুর খবরে তার পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
Advertisement
বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকে বিজিবি এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের ৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক দরবোরা শিং বলেন, এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। ওই বাংলাদেশি দায়িত্বরত বিএসএফ সদস্যকে আক্রমণের চেষ্টা করায় আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ সদস্য ফায়ার করেন। তবে ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা পুনরায় সংঘটিত হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টায় ভারতের কুচবিহার জেলা সদরের এম জে এন নামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
Advertisement
আরও পড়ুন
নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহতএর আগে একইদিন ভোরে উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। লিটন মিয়া দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মোকছেদুল ইসলামের ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় দিয়ে ৪০-৫০ বাংলাদেশি যুবক গরু আনার চেষ্টা করলে ভারতীয় জলপাইগুড়ি-৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বারথার ক্যাম্পের টহল সদস্যরা গুলি করেন। এসময় লিটন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে যান। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যান এবং হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহাজারি করতে করতে নিহত লিটনের মা দুলালী বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে কী অপরাধ করেছে? যদি অপরাধই করে তাহলে তার শাস্তি হবে। মেরে ফেলার তো কারো অধিকার নেই। আমি আমার ছেলেকে চাই।’
Advertisement
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুদেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মরদেহ জাওরানীর সীমান্ত দিয়ে আজ সন্ধ্যায় হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
রবিউল হাসান/এসআর/এমএস