দীর্ঘ ১৮ বছর পর ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ড্রয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেও শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশের। ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটে গোল খেয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আরেকটি হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
Advertisement
অথচ মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের ফুটবলাররা দেশবাসীকে ফিলিস্তিনকে রুখে দেওয়ার গর্বটা উপহার দেওয়ার কাছাকাছিই চলে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত হলো না।
এমন হারে হতাশ বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। তবে ছেলেদের পারফরম্যান্সে তিনি খুশি। কারণ, গোটা ম্যাচেই বাংলাদেশ লড়াই করেছে, চোখে চোখ রেখে খেলেছে ৮৬ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে। ম্যাচের পর ক্যাবরেরা তার দলের লড়াকু ফুটবলের কথাই বলছিলেন বারবার। ক্যাবরেরা বলেন, ‘ফুটবলে এমনটা হতে পারে। আমাদের দল নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত। প্রথমার্ধে আমাদের রক্ষণ জমাট ছিল। যদিও ফিলিস্তিন বল দখলে এগিয়ে ছিল। ম্যাচে আমরা আধিপত্য করেছি, ভীতও ছিলাম না। পরিস্থিতি ভালোভাবে সামাল দিয়েছি। অনেকগুলো কর্নার পেয়েছিল ওরা, সেগুলোও আমরা ভালোভাবে ডিফেন্ড করেছি। শেষ দিকে আমরাও কিছু সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি।’
দ্বিতীয়ার্ধে পাওয়া সুযোগ কাজে না লাগাতে পারাটাও ছিল হতাশা কোচের কাছে, ‘দ্বিতীয়ার্ধে ভালো শুরু করলাম। কিন্তু আবারও ছন্দ পতনের মুহূর্ত এলো। পরে সম্ভবত জয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত শারীরিক শক্তিনির্ভর দলের বিপক্ষে আমরা জাল অক্ষত রাখতে পারিনি। এটা হতেই পারে। যাই হোক, ম্যাচটা আমাদের জন্য দারুণ ছিল। দল ভীষণ ইতিবাচক ছিল। এখন আমাদের জুনের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবতে হবে।’
Advertisement
গোলরক্ষক মিতুল মারমার পারফরম্যান্স ও ইনজুরি নিয়ে ক্যাবরেরা বলেন, ‘মে মাসের পর থেকে মিতুল ভালো পারফরম করছেন। মিতুল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাক, তার কী হয়েছে। তার কী অবস্থা সেটা দেখতে হবে। ৯৫ মিনিট পর্যন্ত আমরা পয়েন্ট পাওয়ার জন্য লড়াই করেছি। ৯৭ নম্বরে থাকা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে পয়েন্ট পাওয়ার জন্য যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছি আমরা। পারিনি। তবে এর মাধ্যমে আমাদের মানটাও দেখাচ্ছে।’
শেষ দিকে মনসংযোগের ঘাটতি হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে ক্যাবরেরা বলেন, ‘এটা মনসংযোগের ঘাটতি নয়। কখনও আপনি প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পাবেন, কখনও পাবেন না। এটা হতাশাজনক। আসলেই আজ তাদের চেয়েও আগে আমাদের গোল প্রাপ্য ছিল। পয়েন্ট না পাওয়া অবশ্যই হতাশার।’
আরআই/এমএমআর/এমএস
Advertisement