যদিও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের মতো দলের সঙ্গে টেস্ট জয় আছে, কিন্তু সবমিলিয়ে টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ খারাপ। সেটা টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত। জয় কিংবা ড্রয়ের চেয়ে পরাজয়ের পাল্লাই ভারি। ২৪ বছর হয়ে গেলেও এখনও যেন টেস্ট খেলার মেজাজটা বুঝে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা নেই, সিরিজ বিজয়ের রেকর্ডও কম। প্রথমদিকে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত আর শ্রীলঙ্কার কাছে অহরহ হারতো বাংলাদেশ। গড়পড়তা ৩ দিনেই শেষ হয়ে যেতো ম্যাচ। বেশিরভাগ টেস্টেই বাংলদেশের ইনিংস পরাজয় ছিল সঙ্গী। ওসব হার নিয়ে নানা তির্যক কথাবার্তা হতো। সমালোচকরা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতেন। বলতেন, বাংলাদেশ টেস্ট খেলতে পারে না। বাংলাদেশকে টেস্ট মর্যাদা দেওয়া ঠিক হয়নি। এমন কথাবার্তা শোনা যেতো কয়েক বছর আগেও। তবে মাঝে কিছুদিন বাংলাদেশ টেস্টে একটু আধটু উন্নতি করেছে। পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনার পাশাপাশি ম্যাচ ড্র করার সামর্থ্য বেড়েছে। কিন্তু এবার ঘরের মাঠে নিকট অতীতে ভালো খেলার সব রেকর্ড ভাঙলো টাইগারদের। শ্রীলঙ্কার কাছে চরমভাবে পর্যুদস্ত হলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল। হারলো ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।
Advertisement
শুধু পরাজয়ের বিশালতাই নয়, যারপরণাই বাজে ও শ্রীহীন ব্যাটিং করে শান্ত ও লিটনরা হয়েছেন চরমভাবে নিন্দিত। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনও ভীষণ ক্ষুব্ধ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখে।
আজ স্বাধীনতা দিবসের শুভক্ষণেও মিডিয়ার সামনে চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন বিসিবি বিগ বস। খেলার ধরন দেখে তার একদমই ভাল লাগেনি। বিসিবি সভাপতির মনে হয়েছে, যেন ক্রিকেটারদের টেস্ট খেলার ইচ্ছে নেই। তাদের জোর করে টেস্ট খেলতে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাপন বলেন, ‘টেস্টে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জিতব এমনটা বলার মতো আত্মবিশ্বাস যে ছিল, এটা বলা ঠিক হবে না। এটা আসলেই ছিল না। সমস্যা হচ্ছে, এখানে হারাটা নিয়ে না। সমস্যা হচ্ছে যেভাবে তারা হেরেছে। যেভাবে তারা খেলেছে। তাদের যে মানসিকতা, শট সিলেকশন; জঘন্য-বিচ্ছিরি ছিল দেখতে। মনে হচ্ছে হয়তো তারা খেলতে চায় না এই ফরম্যাটে। অথবা অন্য কোনও সমস্যা। এটা নিয়ে আমাদের মন খারাপ হয়েছে।’
Advertisement
খেলায় হার-জিত থাকতেই পারে, এটাকে বড় সমস্যা মনে করছেন না বিসিবি সভাপতি। কিন্তু যেমনভাবে শান্ত-লিটনরা আউট হয়েছেন, তা মানতে পারছেন না তিনি।
পাপন বলেন, ‘হারা-জেতা নিয়ে একটুও চিন্তিত না। এই ধরনের শট সিলেকশন, এই ধরনের মাইন্ডসেট, এটা টেস্টে যায় না। এখানে কেউ বাচ্চা ছেলে না যে হঠাৎ করে তাদের নামিয়ে দেওয়া হলো। এমন না যে তাদের বলে দিতে হবে। তারা প্রত্যেকেই জানে (কী করতে হবে)। এখানে আমাদের মন খারাপ হয়েছে।’
এআরবি/এমএমআর/এএসএম
Advertisement