রোমাঞ্চকর ভ্রমণের স্বাদ নিতে যারা পছন্দ করেন, তাদের জন্য সেরা স্থান হতে পারে ভারতের বেশ কয়েকটি ভুতুড়ে শহর। সেখানকার পরিবেশ এতোটাই থমথমে যে, দিনের বেলাতেও সেসব স্থানের আশপাশে ভিড়তে ভয় পান মানুষ।
Advertisement
তবে আপনার যদি সাহস থাকে তাহলে ভারত গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন সেখানকার বেশ কয়েকটি ভূতুড়ে শহড়ে। পরিত্যক্ত বা আধা-পরিত্যক্ত এসব শহর একসময় প্রাণবন্ত ও জনবহুল থাকলেও এখন নির্জন।
আর এ কারণেই ভুতুড়ে বলেই পরিচিত শহরগুলো। রোমাঞ্চপ্রিয় পর্যটকরা ভিড় করেন এসব শহরে। চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন। রইলো ভারতের ভুতুড়ে শহরের হদিস-
কুলধারা, রাজস্থানকুলধারা রাজস্থানের জয়সলমেরের কাছে অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত গ্রাম। তথ্য অনুসারে, ১৯ শতকের দিকে এক রাতে পুরো গ্রাম নির্জন হয়ে গিয়েছিল।
Advertisement
গ্রামের বাসিন্দারা ঠিক কোথায় উবে গিয়েছিল তার খোঁজ আজও মেলেনি। বর্তমানে সেখান শুধু আছে পরিত্যক্ত বাড়ি-ঘর ও খাল-বিল। অনেকেই রোমাঞ্চকর অনুভূতির স্বাদ পেতে ঘুরতে যান ভুতুড়ে এই গ্রামে।
ফতেপুর সিক্রি, উত্তরপ্রদেশএই ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটটি ১৬ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। পানির অভাবের কারণে নির্মাণের কিছুক্ষণ পরেই পরিত্যক্ত হয় শহরটি।
বর্তমানে নির্জন শহরটি বুলন্দ দরওয়াজা ও জামা মসজিদসহ অত্যাশ্চর্য স্থাপত্যের বিস্ময় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর সেসবের টানেই ছুটে যান পর্যটকরা। তবে সেখানকার ভুতুড়ে পরিবেশ অনেক পর্যটককেই আতঙ্কিত করে!
আরও পড়ুন
Advertisement
তামিলনাড়ুর পামবান দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত ধানুশকোডি। ১৯৬৪ সালে একটি ঘূর্ণিঝড়ের পর বিধ্বস্ত হয় শহরটি। তবে এই শহরের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস ছিল।
আর এখন কালের সাক্ষী শুধু জরাজীর্ণ ভবন ও একটি রেলওয়ে স্টেশনসহ শহরের অবশিষ্টাংশ। এগুলোই এখন ধানুশকোডির ভুতুড়ে স্মারক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। পরিত্যক্ত স্থান হওয়ায় অনেকেই সেখানে যেতে ভয় পায়।
লাখপত, গুজরাটলাখপত একসময় একটি ব্যস্ত বন্দর শহর ও বাণিজ্যের কেন্দ্র ছিল। যাই হোক, সিন্ধু নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও পরবর্তী সময় ভূমিকম্পের কারণে শহরটি ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। লাখপতের দেয়াল, বাড়িঘর ও মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ এখন তার অতীত গৌরবের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
রস দ্বীপ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জআন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ারের কাছে অবস্থিত রস দ্বীপটি একসময় ঔপনিবেশিক সময়ে ব্রিটিশদের প্রশাসনিক সদর দপ্তর ছিল।
১৯৪৫-৪৬ সালের মধ্যে কোনো এক সময় পরিত্যক্ত হয় স্থানটি। বর্তমানে পর্যটকরা ব্রিটিশ স্থাপত্যের অবশিষ্টাংশ ও গাছপালা আবৃত ধ্বংসাবশেষের খোঁজে যান সেখানে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জিকেএস