আন্তর্জাতিক

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অভিবাসী বহিষ্কার বেড়েছে

২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

Advertisement

পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালজুড়ে ইইউ থেকে অ-ইউরোপীয় অভিবাসীদের বহিষ্কারের হার ২০২২ সালের তুলনায় আট শতাংশ বেড়েছে।

২০২৩ সালের সালের শেষ ত্রৈমাসিকে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৮৫ জন অ-ইইউ নাগরিককের বিরুদ্ধে ইইউ ছেড়ে যাওয়ার আইনি আদেশ জারি করে সদস্য দেশগুলো। যদিও একই বছরের অন্যান্য ত্রৈমাসিকের তুলনায় এই সংখ্যা দুই শতাংশ কমেছে।

দেশ-ভিত্তিক তথ্য হিসাব করলে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনিয়মিত অভিবাসীদের দেশত্যাগের নোটিশ দিয়েছে ফ্রান্স। দেশটি ৩৫ হাজার ১৭৫ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগের আদেশ জারি করেছে।

Advertisement

জার্মানি জারি করছে ১২ হাজার ৬৫০টি বহিষ্কার আদেশ। গ্রিসে এর সংখ্যা ৬ হাজার ৯২৫ জন।

গত বছরের শেষ তিন মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ২৮ হাজার ৯০০ অনিয়মিত অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যা বছরের অন্যান্য ত্রৈমাসিকের তুলনায় ছয় শতাংশ বেশি।

২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে যারা ইইউ থেকে ফেরত গেছেন, তাদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ ব্যক্তি ইউরোপের বাইরের দেশগুলোর নাগরিক।

এই সময়ের মধ্যে ইইউ দেশগুলো ত্যাগের নোটিশপ্রাপ্তদের মধ্যে শীর্ষে ছিল মরোক্কা (৮ শতাংশ), আলজেরিয়া (৭ শতাংশ), তুরস্ক (৬ শতাংশ), সিরিয়া (৬ শতাংশ), জর্জিয়া (৫ শতাংশ) এবং আফগানিস্তানের (৫ শতাংশ) নাগরিকরা।

Advertisement

এছাড়া, ইউরোপের এক দেশ থেকে অন্য দেশে ফেরত যাওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই জর্জিয়ার (১২ শতাংশ) নাগরিক। দ্বিতীয় অবস্থানে তুরস্ক (৮ শতাংশ), এরপর আলবেনিয়া (৭ শতাংশ) এবং মরক্কো, আলজেরিয়া এবং মলডোভা (৪ শতাংশ করে) থেকে যাওয়া অভিবাসীরা।

গত বছরের শেষ তিন মাসে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ১৮০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে জার্মানি। ৩ হাজার ৫৭০ জন ব্যক্তিকে ফেরত পাঠিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। এছাড়া শেনজেন জোনের নতুন সদস্য ক্রোয়েশিয়া ২ হাজার ৪৩০ জন অভিবাসীকে বহিষ্কার করেছে।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টসকেএএ/