জাতীয়

প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান

ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।

Advertisement

এরই মধ্যে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। চলছে প্যান্ডেল তৈরি ও মাটি ভরাটসহ মাঠ সজ্জার বিভিন্ন ধরনের কাজ। তবে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের দিন ঠিক হবে।

সোমবার (২৬ মার্চ) রমজানের ১৪তম দিনে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঘুরে দেখা যায়, মাঠে বাঁশের স্তূপ, বাঁশের খুঁটি বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যে মাঠের মাঝে মিনার ও ইমামের মেহেরাব বরাবর উত্তর থেকে দক্ষিণ পাশ পর্যন্ত সবচেয়ে উঁচু বাঁশের খাটালসহ (খুঁটির সারি) মোট সাতটি খাটাল বসানো হয়েছে। পুরো মাঠে মোট ১৬টি খাটাল (খুঁটির সারি) বসবে বলে জানা গেছে।

প্যান্ডেলের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক আলাউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছরই আমরা প্যান্ডেল তৈরির কাজে থাকি। প্রথম রোজার দিন থেকে ২৫-২৬ জন শ্রমিক কাজ শুরু করেছি।

Advertisement

তিনি বলেন, ১৫ রমজানের পর আরও কিছু শ্রমিক নেওয়া হতে পারে। এখনও প্রায় অর্ধ শতাধিক শ্রমিক কাজ করছে।

বিগত বছরগুলোর মতো এবারও ঢাকা দক্ষিণ সিটির কাছ থেকে জাতীয় ঈদগাহের প্যান্ডেল নির্মাণের টেন্ডার পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারু সর্দার অ্যান্ড সন্স ডেকোরেটরের ব্যবস্থাপক মো. মোজাম্মেল হক।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আমার কাজ শুধু প্যান্ডেল নির্মাণ করা। ২৬-২৭ রোজার মধ্যেই আমরা প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলা যেতে পারে।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঘুরে দেখা যায়, বিশাল এলাকাজুড়ে প্যান্ডেল তৈরির জন্যে বাঁশ টানানোর কাজ করা হচ্ছে। বাঁশের ওপরে ত্রিপল দিয়ে পুরো মাঠ ঢেকে দেওয়া হবে। পানিরোধক শামিয়ানা দিয়ে ওপরের ছাউনিও প্রস্তুত করার জন্য বাঁশ টানানো হচ্ছে। এছাড়াও ভেতরে নামাজের জায়গা, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি এবং সাদা কাপড় দিয়ে সজ্জিত করার জন্য মাঠের ভেতরের অংশেও মাটি ঢেলে সমতল করা হচ্ছে।

Advertisement

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু নাসের জাগো নিউজকে বলেন, এবার জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। ঈদের আগে অন্তত দু’একদিন হাতে রেখে মাঠের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

জাতীয় ঈদগাহ মাঠসহ আশপাশে প্রায় অর্ধ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এছাড়া সাড়ে পাঁচ হাজার নারীর জামাতে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকছে। জাতীয় ঈদগাহ মাঠে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী পরিষদ, কূটনৈতিক,সচিবসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ঈদ জামাতে অংশ নেবেন। আমাদের ঈগাহ ময়দানে ৩৫ হাজার লোকের ধারণক্ষমতা রয়েছে। এর বাইরে আশপাশে তো ব্যবস্থা রয়েছে। আগামী ২৭ রোজার মধ্যে মাঠের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা কথা।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণের জন্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো কারণে ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়। সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম