ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন জান্নাতুন (৩০) নামের এক নারী।
Advertisement
জান্নাতুন চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বাসিন্দা ইকবাল মিয়ার স্ত্রী।
রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও তালশহর এলাকার মাঝামাঝি চলন্ত ট্রেনে ওই প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেন। পরে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। পরে মা ও নবজাতককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সস্ত্রীক ট্রেনে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন ইকবাল। ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে জংশন অতিক্রম করার পর ইকবালের স্ত্রীর প্রসবব্যথা ওঠে। ট্রেনটি আশুগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার পর ওই বগিতে থাকা এক নারী চিকিৎসকসহ অন্যান্য যাত্রীদের সহায়তায় একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন ওই মা।
Advertisement
নবজাতকের বাবা ইকবাল মিয়া বলেন, ‘আমরা ‘ড’ বগিতে ছিলাম। ভাগ্যিস এ বগিতে একজন নারী চিকিৎসক ছিলেন। ট্রেনেই আমার স্ত্রী সন্তানের জন্ম দিয়েছে। পরে রেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছে। এটি আমার দ্বিতীয় সন্তান।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি ওয়ার্ডের জ্যেষ্ঠ নার্স স্মৃতি রানী রায় বলেন, সন্ধ্যা সাতটার দিকে ওই প্রসূতি হাসপাতালে আসেন। নবজাতকের নাভিতে কর্টক্লিপের পরিবর্তে মাথার চুলের ক্লিপ লাগানো ছিল। এতে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে ইনজেকশন দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়। শিশুর ওজন তিন কেজি। প্রাথমিক অবস্থায় নবজাতকসহ মায়ের জরুরি ও প্রাথমিক ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, প্রসূতি সন্তানপ্রসব করায় ঢাকা কন্ট্রোল রুমের নির্দেশে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাত্রাবিরতি দেয়। পরে মা ও সন্তানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।আবুল হাসনাত মো. রাফি/এমএএইচ/
Advertisement