রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে লাগা আগুনের ঘটনায় নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই৷ তাদেরই একজন চুমকি হিজড়া৷ টিন আর কাঠের তৈরি দোতলা একটি বাড়িতে চুমকিসহ থাকতেন ১৫ জন হিজড়া৷
Advertisement
রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় পুড়ে যাওয়া বস্তিতে গিয়ে কথা হয় চুমকির সঙ্গে৷ তিনি স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
চুমকি হিজরা বলেন, ‘নেতারা ক্ষমতা দেখায়ে জোর-জুলুম করে এখানে ঘর তুলে ভাড়া দেয়৷ ভাড়াটিয়াদের মানবেতর জীবন তারা দ্যাখে না৷ শুধু মাস গেলে ভাড়ার টাকা নেয়৷ আর সেই টাকায় তারা অন্য জায়গায় ফ্ল্যাট বাড়ি বানায়৷ অথচ আমাদের বস্তিতে গ্যাসের লাইনও ঠিক করে দেয় না।’
তিনি বলেন, ‘আমাগো যা ছিল সব শেষ৷ জিনিসপত্র কিচ্ছু নাই৷ আমি না হয় আরেক হিজড়ার বাসায় গিয়ে থাকতে পারবো৷ অন্য যারা আছে তারা রাত কাটাইবো কোথায়? আমি চুমকি বাঁইচা থাকলে নেতারা আর এইখানে ঘর তুলতে পারবো না৷’
Advertisement
আরও পড়ুন
কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে ‘এক কাপড়ে দাঁড়ায়ে আছি, ক্যামনে বাঁচমু’স্থানীয়রা বলছেন, কড়াইল বস্তিতে লাগা আগুনে তিন থেকে চারশো পরিবার নিঃস্ব হয়েছে৷
রোববার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই বস্তির অনেক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
Advertisement
এনএস/এমকেআর/জিকেএস