ক্যাম্পাস

নববর্ষের দিন বিকেল ৫টার পর ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষেধ

বছর ঘুরে আবারও আসছে পহেলা বৈশাখ। এবার এর প্রতিপাদ্য ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’। এরই মধ্যে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।

Advertisement

পহেলা বৈশাখের প্রধান আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য কর্মসূচি নিয়ে প্রস্তুতি সভা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।

রোববার (২৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সভা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা ও ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের প্রস্তুত করা মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া নববর্ষের দিন (১৩ এপ্রিল) ক্যাম্পাসে সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। এরপর বিকেল ৫টার পর ক্যাম্পাসে কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে।

সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। আর এদিন ক্যাম্পাসে যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধুমাত্র নীলক্ষেত ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন।

নববর্ষের দিন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসা ব্যক্তিরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদের সামনে ছবির হাটের গেট, বাংলা একাডেমির সামনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে প্রস্থানের পথ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেট ও বাংলা একাডেমির সামনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট ব্যবহার করা যাবে।

ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্প ডেস্ক, কন্ট্রোল রুম এবং অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প থাকবে। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশপাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে।

Advertisement

সভায় নববর্ষের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি করা হয়েছে। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এই কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া সভায় দুটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এগুলো হলো- শৃঙ্খলা উপ-কমিটি ও মঙ্গল শোভাযাত্রা উপ-কমিটি। ১১ সদস্যবিশিষ্ট শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান এবং সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. লিটন কুমার সাহা। ৩২ সদস্যবিশিষ্ট মঙ্গল শোভাযাত্রা উপ-কমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এবং সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর মো. নাজির হোসেন খান।

প্রস্তুতি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্টার, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা, ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা, প্রক্টর, অফিস প্রধান এবং বিভিন্ন সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জেডএইচ/জেআইএম