কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের খোঁজে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে মেঘনা সেতু সংলগ্ন এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর দুটি উদ্ধারকারী ডুবুরি দল উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে।
Advertisement
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরবের মেঘনা নদীতে ১৫-২০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। শনিবার পর্যন্ত উদ্ধারকারী ডুবুরিরা ২ জনের মরদেহ উদ্ধারের পর মোট ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও এক পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার দুপুরে ৫ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন, পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৬) ও শহরের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী টুটন দে’র মেয়ে আরাধ্য (১১)।
এখনও নিখোঁজরা রয়েছেন- পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৪), তার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (৭), ছেলে রাইসুল (৫), নরসিংদির বেলাব থানার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮), শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০), কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫)।
Advertisement
এ বিষয়ে ভৈরব নদী ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ আজিজুল হক রাজন জানান, রোববার সকাল থেকে পুনরায় নিখোঁজসহ ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারের জন্য আমরা অভিযান শুরু করেছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যই ডুবে যাওয়া ট্রলারটি তীরে ওঠাতে পারবো।
রাজীবুল হাসান/এফএ/এমএস