ধর্ম

আল্লাহর ইবাদতে নিয়মিত ও দৃঢ় থাকুন

আজ (২৩ মার্চ) ১২ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর ১৩তম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের ১৬ নং পারা তিলাওয়াত করা হবে। এ পারায় রয়েছে সুরা কাহাফের ৭৫ নং আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ সুরা মারিয়াম এবং সুরা ত্বহার শুরু থেকে ১৩৫ নং আয়াত পর্যন্ত।

Advertisement

পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে:

১. মুসলমান হিসেবে আমাদের কর্তব্য এক আল্লাহর ইবাদত করা এবং তার ইবাদতে দৃঢ় ও অবিচল থাকা। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তিনি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী এবং এতদুভয়ের অন্তর্বতী যা কিছু আছে সবারই রব; সুতরাং তুমি তার ইবাদতে নিয়মিত ও দৃঢ় থাক; তুমি কি তাঁর সমগুণ সম্পন্ন অন্য কেউ আছে বলে জান? (সুরা মারিয়াম: ৬৫)

২. আল্লাহর দীনের প্রচারকদের কর্তব্য দীনের দাওয়াত নম্র ও সুন্দর ভাষায় মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আল্লাহ তাআলা তা নবি মুসা (আ.) ও হারুনকে (আ.) নির্দেশ দিয়েছেন দীনের দাওয়াত দিতে গিয়ে ফেরাউনের সাথে নম্র ভাষায় কথা বলতে। আল্লাহ তাআলা ওই নির্দেশের বর্ণনা দিয়ে বলেন, তোমরা উভয়ে ফেরাউনের কাছে যাও, সে তো সীমালংঘন করেছে। তোমরা তার সাথে নম্র কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে, অথবা ভয় করবে। (সুরা ত্বহা: ৪২-৪৪)

Advertisement

৩. নামাজ ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। নিজে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্ততিকেও নামাজের নির্দেশ দেওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা পবিরার-পরিজনকে নামাজের নির্দেশ দাও আর তাতে অবিচল থাক। তোমার কাছে আমি রিজিক চাই না, আমিই তোমাকে রিজিক দিয়ে থাকি, উত্তম পরিণাম মুত্তাকীদের জন্য নির্দিষ্ট। (সুরা ত্বহা: ১৩২)

৪. আল্লাহর দেওয়া হালাল ও পবিত্র রিজিক থেকে আহার করুন কোনো রকম সীমালঙ্ঘন না করে অর্থাৎ হালালের সীমা থেকে বের না হয়ে। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে উত্তমগুলো আহার কর, আর এতে সীমালঙ্ঘন করো না, করলে তোমাদের ওপর আমার আজাব সাব্যস্ত হয়ে যাবে আর আমার আজাব যার উপর সাব্যস্ত হয় সে তো ধ্বংসই হয়ে যায়। (সুরা ত্বহা: ৮১)

ওএফএফ/জেআইএম

Advertisement