নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ব্রিটিশবিরোধী ও টংক আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী কুমুদিনী হাজং (৯২) আর নেই। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
Advertisement
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং জানান, আগামীকাল রোববার সকালে স্থানীয় শশ্মানঘাটে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
তার মৃত্যুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহী, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রেমন্ড আরেং, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসান, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা কমরেড দিবালোক সিংহ, দুর্গাপুর প্রেস ক্লাব পরিবার, পথ পাঠাগার পরিবার, বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠন, সিপিবি নেত্রকোনা জেলা ও দুর্গাপুর উপজেলা কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
কুমুদিনী হাজং উপজেলার সীমান্তবর্তী কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেড়াতলী গ্রামে এক টিলায় বসবাস করতেন। হাজং বিদ্রোহের সাক্ষী কুমুদিনী হাজং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, টংক আন্দোলন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, পাকিস্তানি জুলুম-বৈষম্য, নিপীড়ন, ১৯৬৪ এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, মহান স্বাধীনতা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনের কালের সাক্ষী তিনি।
Advertisement
তিনি বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। এরমধ্যে ১৯৯৯ সালে তেভাগা কৃষক আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তিতে পুরস্কার, ২০০৩ সালে অনন্যা শীর্ষ দশ নির্বাচিত পুরস্কার, ২০০৫ সালে স্বদেশ চিন্তা সংঘ ড. আহম্মদ শরীফ স্মারক পুরস্কার, ২০০৭ সালে মণিসিংহ স্মৃতিপদক পুরস্কার, ২০১০ সালে সিধু কানহু ফুলমনি পদক, ২০১৪ সালে জলসিঁড়ি পদক, ২০১৮ সালে হাজং জাতীয় পুরস্কার, ২০২১ সালে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক সম্মাননা, ২০২২ সালে পথ পাঠাগার সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
এইচ এম কামাল/আরএইচ/জেআইএম