নির্মাতা রাজ চক্রবর্তী দীর্ঘদিন আগে থেকেই মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে তার সিনেমায় কাজ করতে চেয়েছিলেন। তিনি প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। তবে সেই সময়ে কাজটা করা হয়নি। এর ১১ বছর পর এলো সেই দিনটি। অবশেষে মিঠুনের সঙ্গে কাজ করছেন রাজ চক্রবর্তী।
Advertisement
মনিটরে চোখ রেখে যখন অ্যাকশন-কাট বলছিলেন রাজ চক্রবর্তী, তখন তার চোখেমুখে খুশির আমেজ। স্বপ্নপূরণই তো। কারণ ক্যামেরার সামনে বসে রয়েছেন, মিঠুন চক্রবর্তী। এসভিএফের প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে রাজ চক্রবর্তীর নতুন সিনেমা, এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে ঋত্বিক চক্রবর্তী ও মিঠুনকে দেখা যাবে।
আরও পড়ুন:
মুক্তি পেল ‘লুকোচুরি’ আদিত্য চোপড়াকে বিয়ের কারণ জানালেন রানিমিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে পরিচালক হিসেবে কাজ করার জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন রাজ? এ পরিচালক বলছেন, ‘একটি ডান্স রিয়েলিটি শোয়ের আগে কাজ করেছিলাম মিঠুনদার সঙ্গে। সেই সময় থেকেই খুব ভালো সম্পর্ক। ২০১৩ সালে ওকে ‘প্রলয়’ সিনেমার অফার দিয়েছিলাম। উনি রাজিও হয়েছিলেন, তবে সেই সময়ে কাজটা হয়ে ওঠেনি। এতদিন পরে, অবশেষে তার সঙ্গে কাজ করতে পারছি। তার সম্পর্কে যে গল্পগুলো শুনেছি, কীভাবে উনি কাজ করেন, চরিত্রের মধ্যে প্রবেশ করেন। সবটা দেখছি আর শুধুই মুগ্ধ হচ্ছি। অসাধারণ।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘এ সিনেমাটি এক পরিবারের গল্প। বাবা-ছেলের সম্পর্কের গল্প। এখনকার সমাজেই এমন অনেক চরিত্র পাওয়া যায় যারা তাদের বাবা-মায়ের কথা ভাবেন না, খোঁজও নেন না। বাবার চরিত্রটা মিঠুনদা এত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলছেন! কখনো ভয়, কখনো রাগ, কখনো বিরক্তি। সবটাই দুর্দান্ত। আর সিনেমাতে তার আসল বয়সটাই দেখানো হচ্ছে।’
মিঠুন চক্রবর্তীর এ সিনেমার চিত্রনাট্য শোনা প্রসঙ্গে রাজ বলছেন, ‘মিঠুনদা শুটিংয়ে একরকম মানুষ আর শুটিংয়ের বাইরে একেবারে অন্যরকম। যখন তাকে গল্পটা শোনাই, তিনি বলেছিলেন সোজাভাবে গল্পটা বললেই দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবে। বেশি পাকামি করা চলবে না। তার কিছু কিছু পরামর্শ ছিল, দিলেন। তবে আমার সবচেয়ে চিন্তা ছিল মিঠুনদার লুক টেস্ট নিয়ে। তার চুল কাটাতে হত। সেটা তাকে বলায় মিঠুনদা এক কথায় রাজি হয়ে গেলেন তার লম্বা চুল কাটতে। শুধু তাই নয়, একেবারে নো মেক আপ লুকে কাজ করতে রাজি হয়েছেন উনি। এই চরিত্রটার জন্য সেটাই দরকার ছিল।’
এমএমএফ/এএসএম
Advertisement