নেপালের মুস্তাং ‘নিষিদ্ধ রাজ্য’ নামেও পরিচিত। এই স্থান নেপালের একটি লুকানো রত্ন! হিমালয়ের কোলে অবস্থিত স্থানটি অভিযাত্রী ও ধর্মীয় মানুষদের সমানভাবে আকর্ষণ করে।
Advertisement
এই প্রত্যন্ত অঞ্চলটি, তার নিঁখুত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রাচীন মঠ ও অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দিয়ে পর্যটকদের আকর্ষিত করে। সেখানে ভ্রমণকালে ঘুরে আসতে পারেন ৫টি দর্শনীয় স্থানে। জেনে নিন কোথায় কী দেখবেন-
চারং
বার্লি ক্ষেত ও পাথুরে ফসলের মধ্যে অবস্থিত, চারং একটি মনোমুগ্ধকর গ্রাম। যা এর প্রাচীন মঠ ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত। সেখানকার গোলকধাঁধা গলিগুলো ঘুরে দেখুন নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করবেন।
Advertisement
এছাড়া সেখানকার চমৎকার ম্যুরাল ও মূর্তি দিয়ে সজ্জিত ৪০০ বছরের পুরোনো চারং গোম্পা দেখুন, বা মুস্তাং উপত্যকার মনোরম দৃশ্যের জন্য কাছাকাছি পাহাড়ে হাইক করুন। সেখানকার স্থানীয়রাও বেশ বন্ধুসুলভ। তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করুন, তাহলে তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ধুম্বা লেক
মুস্তাংয়ের রুক্ষ ভূ-খণ্ডের মধ্যে আছে ধুম্বা হ্রদ, এটি একটি লুকানো রত্ন যা আবিষ্কারের অপেক্ষায় আছে। জোমসোমের কাছে একটি প্রত্যন্ত উপত্যকায় অবস্থিত লেকটি, এই পবিত্র হ্রদটি ধ্যানের জন্য সেরা এক স্থান।
আরও পড়ুন
Advertisement
পাথুরে পাহাড় ও তুষার-ঢাকা চূড়া দ্বারা বেষ্টিত, ধুম্বা হ্রদের স্বচ্ছ পানি হিমালয়ের আদি সৌন্দর্য প্রতিফলিত করে, একটি শান্ত পরিবেশ তৈরি করে যা আত্মাকে প্রশান্ত করে।
কাগবেনি
কালী গন্ডকি ও ঝোং নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত, কাগবেনি উচ্চ মুস্তাংয়ের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। সাদা সাদা ধোয়াটে ঘর ও গোলকধাঁধা গলি আছে এই গ্রামে। সেখানকার মধ্যযুগীয় কাগ চোদে থুপ্টেন সাম্ফেল লিং মঠ ঘুরে দেখুন।
মুক্তিনাথ মন্দির
৩৭১০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মুক্তিনাথ মন্দির। এটি হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয়ের জন্যই অপরিসীম ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে। মন্দিরটি ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত ও ১০৮টি পানির ফোয়ারাসহ একটি প্যাগোডা-শৈলীর কাঠামো আছে।
এগুলো হিন্দু ধর্মের পবিত্র সংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে বলে বিশ্বাস করা হয়। পবিত্র পানিতে স্নান করতে দূর-দূরান্ত থেকে তীর্থযাত্রীরা যাত্রা করেন মুক্তিনাথে।
লো মানথাং
লো মানথাং একটি প্রাচীর ঘেরা শহর, যা ইতিহাস ও সংস্কৃতিতেও ঘেরা। জায়গাটি রুক্ষ পাহাড় ও অনুর্বর প্রাকৃতিক দৃশ্য দ্বারা আবৃত। লো রাজ্যের এই প্রাচীন রাজধানী বৌদ্ধ শিল্প, স্থাপত্য ও ঐতিহ্যের ভান্ডার।
সেখানে গিয়ে দর্শনার্থীরা সরু গলিপথে ঘুরে বেড়াতে পারে, জটিলভাবে খোদাই করা কাদা-ইটের বিল্ডিংগুলো দেখে বিস্মিত হবেন। এছাড়া প্রাচীন মঠগুলো ঘুরে দেখতে পারেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এএসএম