বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, আইসিপি-ইন্টিগেটেড চেকপোস্ট (সমন্বিত চৌকি) যখন চালু হবে আমাদের দু’দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) অর্থনৈতিক অনেক প্রাপ্তি ও সুবিধা হবে।
Advertisement
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে খাগড়াছড়িতে রামগড় স্থলবন্দরে আইসিপি (ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের (বাংলাদেশ-ভারত) দিকে আইসিপির দু’প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের ইনভেস্টমেন্ট করছে। যেগুলো এই আইসিপি চালু হওয়ার পর বর্ডারের দু’পাশসহ অবশ্যই সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিকে অনেক সমৃদ্ধি করবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন পলাতক সদস্যকে শিগগির তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। অন্যদের যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে সেভাবে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
Advertisement
মিয়ানমার সামরিক জান্তার সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষের জের ধরে ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে বিজিপির ৩২৯ জন সদস্য এদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে তাদেরকে জাহাজে করে সাগর পথে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। মার্চে মিয়ানমারের বিজিপির ১৭৭ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
এর আগে বিজিবি সূতিকাগার ঐতিহ্যবাহী রামগড় ব্যাটালিয়ন সদর, বিজিবি স্মৃতিস্তম্ভ, রামগড় স্থলবন্দর সংলগ্ন আইসিপি ও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীসেতু এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক। পরে স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় সীমান্তবর্তী ২৫০ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মধ্যে চাল-ডাল-চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শেষে রামগড় ব্যাটালিয়নের (৪৩ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদরে সবস্তরের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সবার সঙ্গে ইফতার করেন। এসময় সবাইকে আভিযানিক, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
এসময় বিজিবি সদরদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ), চট্টগ্রাম রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার এবং রামগড় ব্যাটালিয়নের (৪৩ বিজিবি) অধিনায়কসহ অন্যান্য অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
টিটি/এমএএইচ/এএসএম