লাইফস্টাইল

রোজাদারের জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার কী?

পবিত্র রমজান মাসজুড়েই ইফতারে সবাই বাহারি খাবার রাখেন। তার মধ্যে সব খাবারই কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। অনেক সময় দেখা যায়, খারাপ খাবারের মাধ্যমে ভালো খাবারের পুষ্টিগুণ আপনার শরীর পায় না। সারাদিন রোজা রাখার পর অনেকেই মনে করেন, পেট ভরে যা ইচ্ছে তা-ই খাবেন।

Advertisement

যদিও সারাদিন না খেয়ে ফাস্টিং করার মাধ্যমে শরীরের অনেক উপকার হয়। তবে আপনি যখন রোজা ভেঙে ভুল খাবার খেয়ে ফেলবেন, তখন কিন্তু তা শরীরের জন্য আরও ক্ষতিকর হয়ে উঠবে।

রমজানে ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণেই বেশিরভাগ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাহলে রমজানে কোন কোন খাবার পাতে রাখবেন? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রমজানের সবচেয়ে ভালো ৫ খাবার সম্পর্কে-

কলা

কলা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। যা তৃষ্ণা নিবারণ করে ও দীর্ঘ সময়ের জন্য হাইড্রেটেড রাখে। কলা ফাইবার ও প্রতিরোধী স্টার্চের একটি দুর্দান্ত উত্স।

Advertisement

রোজা ভাঙার পর কলা খেলে এর প্রতিরোধী স্টার্চ আপনাকে পূর্ণতা অনুভব করতে সহায়তা করে। ফলে কম খাবার খেয়েও পেট ভরাতে পারবেন আপনি। এটি শরীরও পুষ্টি পাবে।

আরও পড়ুন

ইফতারে কী খাবেন, আর কোন খাবার এড়িয়ে যাবেন?  ইফতারে রাখুন ঠান্ডা ঠান্ডা মিল্ক ডেজার্ট  খেজুর

সারাদিন রোজা রাখার কারণে কার্বোহাইড্রেট ও মিষ্টির জন্য সবারই লোভ বেড়ে যায়। এজন্য ইফতারে রাখতে পারেন খেজুর। এটি একটি আদর্শ ডেজার্ট হতে পারে। খেজুরে প্রচুর অ্যানার্জি, ফাইবার ও আয়রন আছে।

খেজুরের প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় তা অল্প পরিমাণে খেলেও আপনি দ্রুত অ্যানার্জি পাবেন। ইফতারে দুটি খেজুর প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে ও আপনার মিষ্টি তৃষ্ণাকে মেটাতে যথেষ্ট হওয়া উচিত।

Advertisement

গোটা শস্য

জোয়ার, বাজরা, ওটস ও রাগির মতো গোটা শস্য প্রোটিন সমৃদ্ধ। যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেট রাখে, ক্ষুধা নিবারণ করে ও শক্তি জোগায়। এগুলোতে প্রচুর জটিল কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার থাকে। ফলে এগুলো ধীরে ধীরে হজম হয় ও শরীরও বেশি শক্তি পায়।

বাদাম

বাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন- ওমেগা ৩ ও ৬ এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণতা বোধ করায়। এজন্য ইফতারে রাখতে পারেন শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুট। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।

টকদই

রোজা রাখার ফলে খালি পেটে অ্যাসিড তৈরি হওয়ার কারণে শরীর প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে। সেই প্রভাব নিয়ন্ত্রণে ইফতারে টকদই বেছে নিন। এতে থাকে প্রোবায়োটিক। যা হজমে সহায়ক। ইফতারে আপনি টকদই ও বিভিন্ন ফল দিয়ে একটি সুস্বাদু ডেজার্ট তৈরি করতে পারেন।

দীর্ঘ বিরতির পরে ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়া ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের লোভ বাড়তে পারে। এজন্য ভালো ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমে।

সূত্র: হেলদিফাইমি

জেএমএস/জিকেএস