জাতীয়

সড়কে দুর্ঘটনা ও যানজট কমাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর সুপারিশ

ঈদযাত্রায় পথে পথে লাখো মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমাতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে গতানুগতিক সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে এসে প্রযুক্তিনির্ভর অত্যাধুনিক পদ্ধতির মনিটরিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

Advertisement

একই সঙ্গে ঈদের আনন্দযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন বন্ধ করার সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। পাশাপাশি নিম্নআয়ের মানুষদের বাস-ট্রাকের ছাদে বা পণ্যবাহী পরিবহনে যাতায়াত ঠেকাতে ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এসব দাবি জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, এরই মধ্যে সারাদেশে ৭১৪টির বেশি যানজটপূর্ণ এলাকার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। ১০টি জাতীয় মহাসড়কের ২৩৮টি অতিঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনাপ্রবণ স্পটের বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে।

Advertisement

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের তথ্য মতে, এসব দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানগুলোতে ৬০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কের টোল প্লাজা যানজটমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত প্রতি ঈদে নেওয়া হলেও তা কার্যকর হয় না।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের মত জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রতি ঈদে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয় না। ফলে সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও যানজটে যাত্রীদুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

এমএমএ/এমকেআর/জেআইএম

Advertisement