রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি কেন বাতিল হবে না, এ মর্মে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
Advertisement
একই সঙ্গে ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। ফলে রুল নিষ্পত্তি হওয়া না পর্যন্ত ১৬৯ শিক্ষার্থী ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ক্লাসে যেতে পারবে না বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী শামীম সরদার।
বুধবার (২০ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম সরদার। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। বাতিল করা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা।
Advertisement
আরও পড়ুন
ভিকারুননিসার ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শূন্য আসনে ভর্তির নির্দেশ ভিকারুননিসার ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের বিষয়ে আপিলভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) একটি স্মারক হাইকোর্টে উপস্থাপন করে।
মাউশির ওই আদেশ মতে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অনুসরণ করেনি। ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার প্রক্রিয়া ছিল বিধিবহির্ভূত। এসব ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৫৯ জন।
এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে শিগগির মাউশিকে অবহিত করার অনুরোধ করা হলো। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে। ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের পর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে শূন্য আসনে ভর্তি নিতে গত ৬ মার্চ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে বাতিলকৃত শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা আপিল করেন।
Advertisement
এফএইচ/এমকেআর/এমএস