ইন্দোনেশিয়ার একজন উদ্যোক্তা পেত্রা কেলানা। সাধারণত রমজান মাসে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে উত্তর সুমাত্রার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় ইফতার করেন। কিন্তু এ বছর একটি আউটলেট তাদের তালিকায় নেই। সেটি হলো ম্যাকডোনাল্ডস।
Advertisement
গত অক্টোবরে ম্যাকডোনাল্ডসের ইসরায়েলি আউটলেট থেকে ইসরায়েলি সেনাদের ফ্রিতে খাবার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। তাদের এই পদক্ষেপের পর ম্যাকডোনাল্ডস বর্জন করছেন কেলানা।
আরও পড়ুন>
গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭ গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৪আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে কেলানা বলেন, এটা আউটরাইট কোনো বর্জন নয়, বরং ইসরায়েলের প্রতি অসন্তুষ্টির অনুভূতি।
Advertisement
তিনি বলেন, ম্যাকডোনাল্ডেসের স্টিকার আমার গাড়িতে ব্যবহার করতাম এবং এটির মাধ্যমে আমি ডিসকাউন্ট পেতেন। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর সেটি ফেলে দিয়েছি।
ইন্দোনেশিয়ার এই উদ্যোক্তা বলেন, আমি যদি গাজায় গিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়তে পারতাম, তাহলে তা করতাম। কারণ প্রত্যেক দিন ইসরায়েলের হাতে মারা যাচ্ছেন মুসলমানরা। যেহেতু আমি গাজায় যেতে পারছি না, তাই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত পণ্য বর্জন করে সমর্থন জানাচ্ছি।
ফরাসি প্রডিউসার ড্যানোন বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি কোম্পানি ও স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছে এমন রিপোর্টের পরে অ্যাকোয়া বোতলজাত পানি পান করাও বন্ধ করে দিয়েছেন কেলানা। ইসরায়েলি পণ্যের নিয়মিত আপডেট দেওয়া হয় এমন একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও যোগ দিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত পণ্য বর্জনের ঢাক দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়াজুড়ে। এতে বিপাকে পড়ছে ব্রান্ডগুলো।
Advertisement
ফেব্রুয়ারিতে ম্যাকডোনাল্ডস জানায়, ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বিক্রি বাড়ে মাত্র শূন্য দশমিক সাত শতাংশ, যা আগের বছরের একই সময়ের ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে অনেক কম।
ম্যাকডোনাল্ডের সিইও ক্রিস কেম্পজিনস্কি বলেছেন, সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মধ্যপ্রাচ্য, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো মুসলিম দেশগুলোতে। যেহেতু যুদ্ধ চলছে, তাই এ ব্যাপারে তাড়াতাড়ি খুব একটা উন্নতি হবে না বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি ।
অন্যান্য ব্র্যান্ড যেগুলো বর্জনের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ইউনিলিভার ও কফি চেইন স্টারবাকস।
মালয়েশিয়ায় স্টারবাকস ফ্র্যাঞ্চাইজি বেরজায়া ফুড গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ রাজস্ব কমার কথা জানিয়েছে, এজন্য তারা মূলত চলমান যুদ্ধকে দায়ী করেছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম