জাতীয়

খুললো আরেকটি র‌্যাম্প, প্রকল্পের অগ্রগতি ৭২ শতাংশ

যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র‌্যাম্প। এ পর্যন্ত প্রকল্পটির অগ্রগতি ৭২.৫১ শতাংশ।

Advertisement

বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এফডিসির সামনের ডাউন র‌্যাম্পটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-মালিবাগ-খিলগাঁও-কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত যাবে। মূল দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সংশোধিত চুক্তি সই হয় ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩। থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (৫১%) এবং চীনা প্রতিষ্ঠান শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ (৩৪%) ও সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেড (১৫%) এর যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে।

Advertisement

প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮৯৪০ কোটি টাকা যার ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। বর্তমানে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭২.৫১ শতাংশ।

আরও পড়ুন

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ফাঁকা, সড়কে জটলা একনজরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

এর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয় গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর। এ অংশের মেইন লাইনের দৈর্ঘ্য ১১.৫ কিলোমিটার এবং র‌্যাম্পের দৈর্ঘ্য ১১.০ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ২২.৫ কিলোমিটার। এ অংশে এরই মধ্যে ওঠানামার জন্য মোট ১৫টি র‌্যাম্প (এয়ারপোর্ট-২, কুড়িল-৩, বনানী-৪, মহাখালী-৩, বিজয় সরণি-২ ও ফার্মগেট-১) যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

এসইউজে/এমএইচআর/জেআইএম

Advertisement