আন্তর্জাতিক

রমজানে কম খরচে ঘুরে আসুন কলকাতার কাছে

চলছে রমজান মাস। গভীর ভক্তি, প্রার্থনা ও নিয়ম-নিষ্ঠার সঙ্গে রোজা পালনের মাস এটি। রমজান শেষ হলেই আসবে খুশির ঈদ। কিন্তু এখনো তার অনেক দিন বাকি। তাই চাইলে পবিত্র রমজান মাসেই অনেকটা কম খরচে ঘুরে আসতে পারেন কলকাতার আশপাশের চমৎকার কিছু দর্শনীয় স্থানে।

Advertisement

যদি আপনি কয়েক দিনের জন্য কলকাতার বাইরে যেতে আগ্রহী হন অথবা কলকাতার সব দর্শনীয় স্থান দেখা হয়ে থাকে, তাহলে নগরীর খুব কাছেই রয়েছে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল ব্যারাকপুর। এই ঐতিহাসিক শহরটিতে রয়েছে দেখার মতো বহু দর্শনীয় স্থান, স্বাধীনতা সংগ্ৰামী মঙ্গল পাণ্ডের নামে উদ্যান। এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় গঙ্গার বুকে নৌকা বিহার। এছাড়া উদ্যানের ভেতরে মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে নানা ধরনের খেলাধুলার সরঞ্জাম।

আরও পড়ুন>> 

প্রশান্তির খোঁজ দেবে পাহাড়ি গ্রাম লিংসে তিন হাজার রুপি থাকলেই ঘুরে আসতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের যে সৈকতে সিকিমে ঘুরতে যাওয়া বন্ধ, চাপ বাড়বে দার্জিলিং-কালিম্পঙে

ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী জাদুঘর অথবা গান্ধী স্মারক সংগ্ৰহশালা, জওয়াহারকুঞ্জ উদ্যান। বার্থলোমিউ চার্চেও রয়েছে ঘোরার মতো মনোরম পরিবেশ।

Advertisement

এছাড়া, রমজান মাসে কম খরচে দুটো দিন কাটাতে যেতে পারেন কলকাতা থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্র তীরবর্তী ছোট শহর বকখালিতে। সেখানকার সমুদ্র সৈকত অপূর্ব সুন্দর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের জন্য বিখ্যাত। রয়েছে একটি কুমির প্রজনন কেন্দ্রও। সেখানে দেখতে পাবেন প্রাকৃতিক বাসস্থানে কুমিরের বিচরণ। ওয়াচ টাওয়ার থেকে দেখলে স্থানটি বেশ মায়াবী লাগবে।

আরও পড়ুন>> 

কলকাতায় কেনাকাটা/ একটু বেখেয়াল হলেই বিপদ! বাংলাদেশি পর্যটক টানতে কলকাতায় তোড়জোড়, বসলো সিসি ক্যামেরা ভারতে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যায় দ্বিতীয় বাংলাদেশিরা

কলকাতার আরও কাছাকাছি বেড়ানোর জন্য রয়েছে নরেন্দ্রপুর চিন্তামনি কর পক্ষীরালয়। কলকাতার সিটি সেন্টার থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এই পক্ষীরালয়টি ভারতের প্রধান পক্ষীরালয়গুলোর মধ্যে একটি। প্রায় ১৭ একর বিস্তীর্ণ এলাকা ঘিরে রয়েছে এই মনোরম পরিবেশ।

সেখানে দেখা মিলবে বিভিন্ন প্রজাতির বৈচিত্র্যময় পাখি। ভারতীয় পন্ড হেরন, হোয়াইট থ্রোটেড কিংফিশার, মুনিয়া, কমন হক ছাড়াও নাম না জানা অনেক প্রজাতির পাখির আনাগোনা রয়েছে পক্ষীরালয়টিতে।

Advertisement

স্থানীয় ফলের একটি বাগান রয়েছে স্থানটিতে, যেখানে দেখা মিলবে একঝাঁক শতবর্ষী গাছ।

ডিডি/কেএএ/