মতামত

ত্যাগ ও সাধনাই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির বৈশিষ্ট্য কিন্তু আজ?

স্বাধীনতার মাসে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই সামনে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা এটা জানি যে ইউরোপীয় রেনেসাঁর সারমর্ম হলো মনুষ্যত্ব ও মানবতাবাদ জীবনচর্চার অঙ্গ হিসেবে গ্রহণ। ফলে বুদ্ধির মুক্তি, জ্ঞানচর্চার প্রসার, বৈজ্ঞানিক তথ্য ও যুক্তি অলৌকিকতার কবলমুক্ত করে মানুষের মনন ও চিন্তার সীমাহীন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন। এ উপমহাদেশে বঙ্গবন্ধু তারই সার্থক প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশে কিন্তু আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক চক্রান্তে তা সফল হতে পারলো না।

Advertisement

স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে দ্রুত নানা মেরুকরণ হতে থাকে। দেশি-বিদেশি পরাজিত শক্তি শুরু করে নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র। দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক-সামাজিক ক্ষেত্রে দেখা দেয় অস্থিরতা। স্তাবকের দল তাকে জনগণ থেকে দূরে সরিয়ে দিতে সচেষ্ট ছিল। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠন করে দেশে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস চলে।

অতি বামপন্থিরা চালায় গুপ্তহত্যা ও পাটের গুদামে আগুন দেওয়ার মতো অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড। চুয়াত্তরে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করায় অসংখ্য মানুষ অনাহারে মৃত্যুবরণ করে। পরাজিত পাকিস্তানপন্থিরা গোপনে সংগঠিত হতে থাকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাজনীতিকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা গোপনে চলতে থাকে। এ ব্যাপারে তাকে সতর্ক করা হলে বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘সবাই আমার সন্তান, আমাকে কেউ মারবে না।’ মানুষের প্রতি এই অবিচল বিশ্বাসই তার মধ্যে মানবতাবাদের উৎকৃষ্ট গুণাবলির সমাহার ঘটিয়েছিল। তার হত্যাকারীরা বাহ্যিক পরিচয়ে বাঙালি হলেও তারা ছিল কার্যত বহিঃশত্রুর আজ্ঞাবাহী দাস। পঁচাত্তরের হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমেই একাত্তরের পরাজিত শত্রুর পুনরাবির্ভাব ঘটে।

পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বঙ্গবন্ধু তার চিরাচরিত গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারা থেকে সরে এসে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি জাতীয় রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করায় তিনি সমালোচিত হন। একদলীয় শাসন নয়, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে শোষণহীন সমাজ কায়েম করাই যে বাকশাল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল সেটা প্রমাণ করার সুযোগ আর তাকে দেওয়া হয়নি।

Advertisement

ঐকমত্য প্রাধান্য দিয়ে তার এই নতুন যাত্রাপথের শুরুতেই সাম্রাজ্যবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি তাকে হত্যা করে। তাকে সপরিবারে হত্যা করার সপক্ষে যত কারণই বলা হোক, আসল কারণ হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব দান। একই কারণে বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত জাতীয় চার নেতাকে জীবন দিতে হয়েছিল। বস্তুত পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, সর্বোপরি বাঙালির ইতিহাসে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে নিঃসন্দেহে। যুগ যুগ ধরে এ ঘটনা বাঙালি জাতির সংগ্রামকে দিক-নির্দেশনা দেবে প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করতে। আর এ ঘটনার মূল্যায়ন প্রসঙ্গে খ্যাতনামা সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী লিখেছেন, ‘ইতিহাসের পণ্ডিতদের কাছে একটি কথা বলার জন্য আমি ক্ষমা চাই। কথাটি হলো, পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭) যেমন বহুকালের জন্য ভারত উপমহাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করেছে; ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টও তেমনি নির্ধারণ করে বিশ শতকের শেষ অঙ্কে সারা উপমহাদেশের ভাগ্য। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড যদি নিবারণ করা যেত, তাহলে কয়েক বছর পর পাকিস্তানে হত্যাকাণ্ড, আরও পরে ইন্দিরা হত্যা, রাজীব হত্যা সম্ভবত নিবারণ করা যেত।’

দূর-নিয়ন্ত্রণ রাজনীতির নেপথ্য অক্ষশক্তির কাছে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একটি বিষ ফোঁড়ার মতো অস্বস্তিকর। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমাদের পরিষ্কার কথা- আফ্রিকা হোক, ল্যাটিন আমেরিকা হোক, আরব দেশ হোক, যেখানে মানুষ শোষিত, যেখানে মানুষ অত্যাচারিত, যেখানে মানুষ দুঃখী, যেখানে মানুষ সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা নির্যাতিত, আমরা বাংলার মানুষ দুঃখী মানুষের সঙ্গে আছি ও থাকবো।’

এ অঞ্চলের মধ্যে সবার আগে গিনিবিসাউয়ের বিপ্লবী সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার কথা ও কাজের সঙ্গতির প্রমাণ দিয়েছিলেন। অধিকাংশ আরব দেশ যখন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি, তখনই বঙ্গবন্ধু প্যালেস্টাইন মুক্তিসংগ্রামের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন ও একাত্মতা ঘোষণা করতে কুণ্ঠিত হননি। ১৯৭৪ সালে আলজিয়ার্সে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনের বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন: আজ দুনিয়া দুই শিবিরে বিভক্ত- শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের দলে।

Advertisement

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সাধারণ মানুষের লোক। ছিলেন জনতার নেতা। রাজনীতির তাত্ত্বিক পণ্ডিত তিনি ছিলেন না। এক বা একাধিক বিষয়ে তিনি বিশেষ জ্ঞানী কিংবা বিশেষজ্ঞও হয়তো ছিলেন না। কিন্তু তিনি ছিলেন অসাধারণ প্রজ্ঞাবান একজন রাজনৈতিক নেতা। তিনি মানুষকে বুঝতেন, বুঝতেন জনমনস্তত্ত্ব। মানুষের কাছ থেকে তিনি গ্রহণ করতে পারতেন। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের রসদ তিনি সংগ্রহ করতেন মানুষের কাছ থেকে।

শেখ মুজিবের রাজনীতি প্রাসাদ চক্রান্তের সূতিকাগারে জন্ম নেয়নি, ক্ষমতার প্রলোভনে পুষ্ট হয়নি। এ রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়েছে বঞ্চিত বাংলার সুদূর গ্রামাঞ্চলে, নীরব নিভৃত পল্লিতে, প্রতারিত শোষিত বাঙালির পর্ণকুটিরে। যে ক্ষমতার উৎস জনগণের সমবেত ইচ্ছায়, সহযোগিতায় ও সমর্থনে নিহিত, সে সুপ্ত ক্ষমতার পুনর্জাগরণই মুজিব রাজনীতির মূলমন্ত্র।

 

দেশে গণতান্ত্রিক ধারা সবল সুস্থ হয়ে ওঠেনি। বৈষম্য দূর না হয়ে বাড়ছে। দেশের উন্নতি হচ্ছে কিন্তু অসমভাবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ক্রমেই যেন শক্তিহীন হয়ে পড়ছে। মানবিক মূল্যবোধ তলানিতে এসে ঠেকেছে। লাভ ও লোভের পেছনে একশ্রেণির মানুষের বেপরোয়া ছুটে চলা অমানবিক পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরাও যেন পথভোলা পথিকের মতো আচরণ করছে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও যোগ্যতা একমাত্র শেখ হাসিনারই আছে। কিন্তু তিনিও কীসের অপেক্ষায় দিন গুনছেন, জানি না।

 

মুজিব-নেতৃত্ব ওপর থেকে চাপানো কর্তৃত্ব নয়। এ নেতৃত্ব বাংলার মাটি থেকে উদ্ভূত। আলো-বাতাসের আশীর্বাদপুষ্ট শস্যের মতো বাংলার হাটে-মাঠে-ঘাটে এ নেতৃত্বের উদগম। জনগণের সঙ্গে অচ্ছেদ্য অন্তরঙ্গ সম্পর্কের অমৃতরসে পুষ্ট। এ নেতৃত্বের বুনিয়াদ জনতার অন্তরে।

মানুষের মুক্তির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর আজীবন নিঃস্বার্থ ত্যাগের দৃষ্টান্ত বিরল। তুলনাহীন অজেয় চরিত্র এবং বীর্যবান নেতৃত্ব তার মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এ ত্যাগ ক্ষমতালোভীর লোক-দেখানো ভান নয়, এ ত্যাগ গণকল্যাণে উদ্বুদ্ধ দরদি মনের আত্মবিলুপ্তির পরিচায়ক, এ ত্যাগ ন্যায়ের পক্ষে নির্ভীক গণনেতৃত্বের দুর্বার সংগ্রাম। এ নেতৃত্ব অত্যাচারী বর্বর সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদের দুঃসাহসিকতা।

বর্তমান সভ্যতার ইতিহাস পাঁচ হাজার বছর আগে শুরু হলেও নির্মম ও মর্মান্তিক হত্যার ইতিহাস বর্তমান একবিংশ শতাব্দীতেও থেমে নেই। হত্যাকাণ্ডের শিকার মহামনীষীদের নামের সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামও যুক্ত হয়।

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে শেখ মুজিব লিখেছেন : যে-কোনো মহৎ কাজ করতে হলে ত্যাগ ও সাধনার প্রয়োজন। যারা ত্যাগ করতে প্রস্তুত নয়, তারা জীবনে কোনো ভালো কাজ করতে পারে নাই- আমার বিশ্বাস। এই বিশ্বাস থেকে আমৃত্যু তিনি চুল পরিমাণ বিচ্যুত হননি, এই বিশ্বাস বুকে ধারণ করে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ- নিজের জীবন দিয়ে গেছেন।

ইতিহাস যেমন নেতৃত্বের সৃষ্টি করে, নেতৃত্বও তেমনি ইতিহাস সৃষ্টি করে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারা যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে ইতিহাসের মূল স্রোতে নিয়ে তাকে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা করেছে, তেমনিভাবে শেখ মুজিবও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে তার রাজনৈতিক সাধনা-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিয়ে গেছেন একটা পরিণত রূপে- বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে। তাই বাংলাদেশ ও বাঙালির অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধুর মহিমা এখন বাংলাদেশ ছেড়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। সমগ্র পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে তার নাম। একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো যেখানে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, যখন ভারতের ঔদার্যে দেশের বিধ্বস্ত সেতু, সড়কপথ পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করা হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় কোষাগার যখন আক্ষরিক অর্থেই কপর্দকশূন্য, সেই সর্বশূন্য অবস্থা থেকে সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে তিনি জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে উন্নীত করেছিলেন। এটি সম্ভব হয়েছিল তার প্রজ্ঞা, কঠোর পরিশ্রম এবং অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্য।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন : ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা।’ মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে বাংলার মাটি ও মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই সংশপ্তক, শত্রুর নিশ্চিত ফাঁসির মঞ্চ থেকেও বেরিয়ে এসেছিলেন, দেশ ও বিশ্ববাসীর দাবির মুখে বীরের বেশে। কিন্তু এই ভালোবাসার কাঙ্গাল মানুষটিকে শেষ পর্যন্ত বুকের রক্ত দিতে হলো বাংলার মাটিতে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায়, অবিমৃষ্যকারী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের ষড়যন্ত্রে।

বঙ্গবন্ধুর ভাষায়: ‘সাত কোটি বাঙালির ভালোবাসার কাঙ্গাল আমি। আমি সব হারাতে পারি, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারাতে পারবো না। বাঙালির ভালোবাসার ঋণ বুকের রক্ত দিয়ে শোধ করবো ইনশাল্লাহ।’বঙ্গবন্ধু তার কথা রেখেছেন। এখন আমাদের ঋণ পরিশোধ করার পালা। বাঙালিশ্রেষ্ঠ বঙ্গবন্ধুর নামে ইতিহাসের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হয়েছে। আবহমান কালের প্রবহমান মানুষ তার নামে উদ্দীপ্ত হবে, অনুপ্রাণিত হবে, অনুরণিত হবে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে।

এখনও বাংলাদেশে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনি উচ্চারিত হয়। টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। কিন্তু রাজনীতি কি বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক ধারায় অগ্রসর হচ্ছে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা সবল সুস্থ হয়ে ওঠেনি। বৈষম্য দূর না হয়ে বাড়ছে। দেশের উন্নতি হচ্ছে কিন্তু অসমভাবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ক্রমেই যেন শক্তিহীন হয়ে পড়ছে। মানবিক মূল্যবোধ তলানিতে এসে ঠেকেছে। লাভ ও লোভের পেছনে একশ্রেণির মানুষের বেপরোয়া ছুটে চলা অমানবিক পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরাও যেন পথভোলা পথিকের মতো আচরণ করছে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও যোগ্যতা একমাত্র শেখ হাসিনারই আছে। কিন্তু তিনিও কীসের অপেক্ষায় দিন গুনছেন, জানি না।

১৮ মার্চ, ২০২৪লেখক : রাজনীতিক, লেখক ও চেয়ারম্যান, বিএফডিআর।

এইচআর/ফারুক/জিকেএস