সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় একুশে পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হকের পাঠাগারে বিভিন্ন ধর্মীয় বই উপহার দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়।
Advertisement
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান জিয়াউল হকের হাতে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের এসব বই তুলে দেন।
এসময় জিয়াউল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার হাতে একুশে পদক তুলে দেওয়ার পর আমাকে স্থায়ীভাবে ও বড় পরিসরে পাঠাগার নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও দেশের মানুষের যে ভলোবাসা ও উপহার পেয়েছি, তাতে জীবিত অবস্থায় আমার পাঠাগার নির্মাণ না দেখে যেতে পারলেও আর কোনো আফসোস নেই। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এসব বই পেয়ে আরও সমৃদ্ধ হবে আমার পাঠাগার।
আরও পড়ুন
Advertisement
জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান বলেন, জিয়াউল হকের মতো মানুষ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। তার সামাজিক ও মানবিক কাজে তার পাশে রয়েছে জেলা প্রশাসন।
জিয়াউল হককে বই উপহার অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান, জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
‘বেচি দই, কিনি বই’ স্লোগানের রূপকার ‘সাদা মনের মানুষ’ হিসেবে পরিচিত জিয়াউল হক শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গড়ে তুলেছেন পাঠাগার। যেখানে গ্রামের অসহায় দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা বই নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
পাঠাগার তৈরির পাশাপাশি দই বিক্রির টাকা থেকেই ব্যাপকভাবে সমাজসেবায় জড়িয়ে পড়েন জিয়াউল হক। ঘরবাড়ি নির্মাণ থেকে শুরু করে এলাকার খাবার পানি সংকট নিরসনে টিউবওয়েলও স্থাপন করে দেন। চরম দরিদ্রতাকে জয় করে পথচলা সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জিয়াউল হক পেয়েছেন একুশে পদক।
Advertisement
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জিয়াউল হকের হাতে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোহান মাহমুদ/এসআর/এএসএম