জীবনাচার বিষয়ে জানতে দুটি অলিভ রিডেল প্রজাতির সামুদ্রিক মা কচ্ছপের দেহে শনাক্তকরণ চিপ ট্যাগিং স্থাপন করে সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
Advertisement
প্রায় ৮০ কেজি ওজনের কচ্ছপ দুটি সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সমুদ্রসৈকতের উখিয়ার ছেপটখালী পয়েন্টে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বেসরকারি সংস্থা কোডেক নেচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. শীতল কুমার নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রতিবছর সামুদ্রিক মা কচ্ছপগুলো সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টের বালিতে ডিম ছাড়ে। সেখান থেকে ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে হ্যাচারিতে নিয়ে আসা হয়। হ্যাচারিতে রেখে বাচ্চা ফোটানো শেষে পুনরায় সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়। এখন নতুন করে সামুদ্রিক মা কচ্ছপের দেহে শনাক্তকরণ চিপ ট্যাগিং স্থাপন করা হয়েছে। এটা নিশ্চিত হতে চাচ্ছি যে, এ বছর যে মা কচ্ছপটি সৈকতে ডিম ছাড়লো সেটি আগামী বছর একই জায়গায় ডিম ছাড়তে আসে কি না।
Advertisement
নেচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্পের উদ্যোগে গত তিন বছরে ১২৬টি মা কচ্ছপ থেকে ১৩ হাজার ৫৩০টি ডিম সংরক্ষণ করা হয়েছে। তা থেকে বাচ্চা ফোটানো হয়েছে আট হাজার ৬৭৮টি। যা পরে ধাপে ধাপে সাগরে অবমুক্ত করা হয়।
চলতি বছর ১২০টি মা কচ্ছপ থেকে ১৩ হাজার ৪৩৪ ডিম সংরক্ষণ করা হয়। পরে ৩৪টি বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়। বাকিগুলো হেফাজতে রয়েছে। ক্রমান্বয়ে তা সাগরে ছাড়া হবে বলেও জানান শীতল কুমার নাথ।
এসময় ভাউয়াল জাতীয় উদ্যান বাসকা সংরক্ষণের স্টেশন ম্যানেজার এ জি জে মোরশেদ, নেচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক নারায়ন চন্দ্র দাশ, অসিম বড়ুয়া, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের মনখালী বিট কর্মকর্তা শিমিল কান্তি নাথ এবং বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সায়ীদ আলমগীর/এসআর/এএসএম
Advertisement