ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছে। যা সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকার ওপরে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি ও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এ দরপতন ঘটেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। কারওয়ার বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু হোসেন বলেন, মোকামেও পেঁয়াজের দাম কমেছে। গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে পাবনায় পেঁয়াজের দাম অর্ধেক হয়ে গেছে। প্রতি মণ পেঁয়াজ ২ হাজার টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে, যা চার-পাঁচদিন আগে সাড়ে তিন হাজারের আশপাশে ছিল।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, পবিত্র রমজান মাসে বেশি দামে বিক্রির আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। এরমধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা এসেছে। ফলে তারা সেই পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ছেন। আবার কৃষকেরাও নতুন পেঁয়াজ বাজারে বিক্রির জন্য তুলতে শুরু করেছেন। ফলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।আরও পড়ুনঅভিযানের খবরে অর্ধেকে নামলো পেঁয়াজের দামঅভিযানের খবরে পেঁয়াজের দাম কমলো ২৮ টাকা
অন্যদিকে, গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেছিলেন, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে পেঁয়াজের প্রথম ট্রাক আসবে। ভোক্তা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ইচ্ছে ছিল রমজানের আগে এ পেঁয়াজ দেশে আনার। নানা কারণে হয়নি। তবে, এ সপ্তাহে প্রথম ট্রাক বাংলাদেশে আসবে।পর্যায়ক্রমে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে আসবে।
Advertisement
অন্যদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার (১৭ মার্চ) পাবনা এলাকায় প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। দাম কমে যাওয়ায় বহু কৃষক পেঁয়াজ বিক্রি না করে বাড়িতে ফিরে গেছেন। এক সপ্তাহ আগে ওই এলাকায় পেঁয়াজের মণ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা ছিল।
এমতাবস্থায় ঢাকার বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দাম কিছু কমে আসায় ক্রেতারা খুশি মনে কিনছেন। কেউ এক কেজি, দুই কেজি কেউবা আবার কিনছেন পাঁচ কেজি।
পেঁয়াজ কেনার সময় এনামুল হোসেন নামের একজন ক্রেতা বললেন, রোজার প্রথমদিন পেঁয়াজ কিনেছি ৯০ টাকা করে, আজ তা ৬০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১২০ টাকা।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ভুগিয়েছে পেঁয়াজের দাম। এখন কমছে। এতদিন খুব কম করে কিনছি। আজ অনেকদিন পরে একসঙ্গে দুই কেজি কিনলাম।
Advertisement
এনএইচ/এমএএইচ/এমএস/এএসএম