আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গর্ভনিং বডির সভায় দুটি দেশ বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিয়ে সমালোচনা করেছে।
Advertisement
সভায় যোগ দিয়ে দেশে ফেরার পর সোমবার (১৮ মার্চ) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আইএলও’র মিটিংয়ে বাংলাদেশের শ্রম আইন নিয়ে আপনার কি প্রস্তাবনা ছিল জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন ২০১৯ সালে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার সম্বন্ধে একটা নালিশ করা হয়েছিল আইএলও’র কাছে। সেই নালিশটার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। বার বার হেয়ারিং হচ্ছে। প্রতিবারই সেই নালিশটার বিষয়ে যখন আলোচনা হওয়ার দরকার তখন আলোচনা হয়।’
তিনি বলেন, আইএলও গর্ভনিং বডির মিটিংয়ে বছরে দু’বার বাংলাদেশে শ্রম অধিকারের যে অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়ে তাদের জানাই। এবারও সেই কাজটি করেছি।
Advertisement
‘সেখানে একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেটা হলো- এবার নালিশের বিষয়টি নিষ্পত্তি না করে আগামী নভেম্বরে নিষ্পত্তি করার কথা বলা হয়েছে। আগামী নভেম্বরে আইএলও’র গর্ভনিং বর্ডির মিটিং বসবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘এবার আলোচনায় ২৫টি দেশ আলোচনায় অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে ১৪টি দেশে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছে। একই সঙ্গে বলেছে, নালিশটির সমাপ্তি টানা উচিত। এর বাইরে আরও ৯টি দেশ বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিয়ে আলোচনা করেছে। শ্রমিক অধিকারের যে অগ্রগতি হয়েছে সেটা স্বীকার করেছে। একই সঙ্গে আরও অগ্রগতি হওয়া দরকার, সে বিষয়ে সুপারিশ করেছে এবং আগামী নভেম্বরে এ নালিশটির নিষ্পত্তি হওয়া উচিত সে ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।’
‘তবে কানাডা ও আর্জেন্টিনা- এ দুটি দেশ বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তারা যেসব তথ্য দিয়েছে সেগুলো পুরোনো তথ্য। আর এখন যে অগ্রগতি হয়েছে সেটা তারা বিবেচনায় নেয়নি। তাদের বক্তব্যে সেটা উঠে এসেছে’ বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এ যে নালিশটা প্রলম্বিত করা হচ্ছে সেটা বাংলাদেশের ওপরে সঠিক বিচার করা হচ্ছে না। আমরা আশা করছি ও আশ্বস্ত হয়েছি আগামী নভেম্বরে নালিশটার নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।’
Advertisement
সংশোধিত শ্রম আইন গত সংসদ অধিবেশনে উঠার কথা ছিল, কিন্তু উঠেনি। তাহলে কি আগামী সংসদে উঠবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সংসদে উঠবে বলে আমি আশা করছি।’
আরএমএম/এমএএইচ/এমএস