পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাছ-মাংসসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। নতুন এ দাম তিনটি স্তরে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। একটি পণ্য উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম, পাইকারি বাজারে এবং ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা দাম কত হবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ নির্দেশ পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না বাজারে। বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। তবে অন্যান্য জেলার তুলনায় নওগাঁয় অনেকটা সরকার নির্ধারিত বা তার চেয়েও কম দামে পণ্য বিক্রি হতে দেখা গেছে।
Advertisement
রোববার (১৭ মার্চ) জাগো নিউজের ১১ জেলার প্রতিনিধিরা সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখেন। সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের বাজারসহ মুদিদোকানে খোঁজ নেন তারা। এসময় তাদের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে বাজারদরের চিত্র।
রাজশাহীসকাল থেকে রাজশাহীর বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া মসুর ডাল ১৩০-১৪০, খেসারির ডাল ১৬০ ও মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। আর মাসকলাই বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা কেজি। অথচ নতুন বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, পাইকারি বাজারে ছোলার দাম সর্বোচ্চ সাড়ে ৯৩ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৯৮ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। মসুর ডালের খুচরা পর্যায়ে দাম হবে ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা এবং মোটা দানার মসুর বিক্রি হবে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সায়। খেসারি ডালের খুচরায় সর্বোচ্চ দাম হবে ৯৩ টাকা। মাসকালাই ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা এবং মুগডাল খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ১৬৫ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১০৫০-১১০০, ব্রয়লার ২০০ এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩২০ টাকা কেজি। ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৯ টাকা দরে। অথচ সরকার নির্ধারিত মূল্য গরুর মাংস ৬৬৪ টাকা, ব্রয়লার ১৭৫ ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা। আর প্রতি পিস ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ টাকা।
Advertisement
রাজশাহীর বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। কাঁচা মরিচ ৭০, আদা ২০০, রসুন ১৪০ ও শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি। অথচ দেশি পেঁয়াজের সরকার নির্ধারিত খুচরা মূল্য ৬৫ টাকা, রসুন ১২০, আদা ১৮০, শুকনা মরিচ ৩২৭ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা।
অন্যদিকে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়, বেগুন ও শিম ৬০-৭০, টমেটো ৫০ এবং মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা কেজি। অথচ সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ টাকা, প্রতিকেজি বেগুন ও শিম ৫০ টাকা ও আলু সাড়ে ২৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। এছাড়া প্রতিকেজি টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৪ টাকা খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।
রাজশাহীর বাজারে ৩৫০ টাকার নিচে কোনো খেজুর নেই। এছাড়া সাগর কলা বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৪০ টাকা হালি। চিড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা আর বেসন ১৪০-১৮০ টাকা। অথচ প্রতিকেজি জাহেদী খেজুর ১৫৫ টাকা, সাগর কলার হালি খুচরা ৩০ টাকা, চিড়া ৬০ টাকা এবং বেসন ১২১ টাকা বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৮০ টাকা, ছাগলের মাংস ১০০০, ব্রয়লার ২২০ এবং সোনালি মুরগি ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ টাকা পিস। মাছের মধ্যে পাঙাশ ১৮০-২০০ এবং কাতলা ৩৫০-৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজির মধ্যে কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, আলু ৪০ (১১ টাকা বেশি), টমেটো ৫০ (১০ টাকা বেশি), দেশি পেঁয়াজ ৭০-৮০ (৫-১৫ টাকা বেশি), আদা ১৮০ টাকা, বাঁধাকপি টাকা ৪০, ২০ টাকা বেশি দরে ফুলকপি ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, ১২ টাকা বেশি দরে শিম ৬০ এবং সাত টাকা বেশি দরে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া।
জাহিদি খেজুর ১৯০-২০০ টাকা, চিড়া ৭০ টাকা, সাগর কলা হালি ৩৫-৪০ টাকা এবং বেসন প্রতিকেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ বাজারে ছোলা ১২০ টাকা, মুগ ডাল ২২০ টাকা, মাসকলাই ২০০ টাকা, মসুর ডাল ১৩৫ টাকা এবং খেসারি ডাল ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
নওগাঁনওগাঁ শহরের পৌর মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকদিন আগে যে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে আজ তা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে এক টাকা বেশিতে অর্থাৎ ৬৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুদিন আগে ৭০-৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ আজ ৬০ টাকায় মিলছে খুচরা বাজারে। সরকার নির্ধারিত দামে ডিমের হালি পড়ে ৪২ টাকা। তবে নওগাঁয় তা ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ভালোমানের মসুর ডালের সরকার নির্ধারিত দাম ১৩০ টাকা, যেটি একই দামে নওগাঁর বাজারে মিলছে। মুগ ডালের দাম ১৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা ১৭০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। আর ছোলার দাম ৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়।
বেসনের কেজি ১২১ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। রসুনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকা। নওগাঁয় মানভেদে ১০০-১২০ টাকাতেই রসুন পাওয়া যাচ্ছে।
তবে খেজুরের দাম সরকার ১৮৫ টাকা কেজি নির্ধারণ করলেও বাজারে ৪০০ টাকার নিচে কোনো খেজুর পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন
মাছ-মাংসসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিলো কৃষি অধিদপ্তরমুরগির মাংস সরকার নির্ধারিত দামে না মিললেও কিছুটা কমেছে। সপ্তাহখানেক আগেও যে ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে আজ তা ১৮৫ টাকায় পাওয়া গেছে। সোনালি মুরগির কেজি ২৬২ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা ২৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের পাঙাশ সরকার নির্ধারিত দামের আশপাশেই মিলছে। আর কাতলা মিলছে প্রতিকেজি ৩০০ টাকায় যেটির সরকার নির্ধারিত দাম ৩৫৩ টাকা।
আলুর কেজি ২৮ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও নওগাঁয় তা কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। বেগুনও পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকায়।
পাবনাপাবনার ঈশ্বরদীর পুরোনো ও নতুন বাজারের মুদিখানা, সবজিপট্টি, মাংস ও মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা আগের চেয়ে বেশি দামেই বিক্রি করছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।
সরকার নির্ধারিত ৬৬৪ টাকার কেজির গরুর মাস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, ১০০৩ টাকার খাসির মাংস ১০৫০ টাকা, ১৭৫ টাকার ব্রয়লার ১৯০ টাকা, ১৬২ টাকার সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, খেসারির ডাল ১১২ টাকা, ১৬৬ টাকার মাসকলাই ডাল ১৭২ টাকা এবং ১৫৫ টাকার জাহিদি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। তবে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে এখানে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি, বেগুন, শিম, টমেটো, পেঁয়াজ ও রসুন।
বরিশালবরিশাল নগরীর চৌমাথা বাজারে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে মুগ ডাল ১৬৫ টাকা ৪১ পয়সা নির্ধারিত হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা করে। আমদানিকৃত ছোলার খুচরা মূল্য ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করলেও বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা। খেসারির ডাল ৯২ টাকা ৬১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে।
গরুর মাংস ৭০০-৭২০ টাকা, ছাগলের মাংস এক হাজার ৫০ টাকা, ব্রয়লার ২১০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা হালি।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরকার কাতলা মাছের দাম নির্ধারণ করেছে ৩৫৩ টাকা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়। চাষের পাঙাস ১৮০ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হলেও তা ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। এছাড়া দেশি রসুন, কাঁচা মরিচ অতিরিক্ত দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রংপুরকৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে নির্ধারিত ২৯ পণ্যের দাম রংপুরে পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। পেঁয়াজ, ডিম, টমেটো ও বেগুন ছাড়া প্রায় বেশিরভাগ পণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই তাদেরকেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
নগরীর সর্ববৃহৎ বাজার সিটি বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গরুর মাংস ৬৮০-৭২০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকার বদলে ১৯৫-২১০, সোনালি মুরগি ২৬২ টাকার জায়গায় ২৯০-৩১০, জিহাদি খেজুর ১৮৫ টাকার বদলে ৩০০-৪০০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকার বদলে ১৬০, আদা ২০ টাকা বেশি দরে ২০০, আলু ২৮ টাকার জায়গায় ৩২-৩৫ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১৩০ টাকার বদলে ১৪০, শুকনা মরিচ ৪০০-৪৫০ টাকা, বাঁধাকপি ও ফুলকপি যথাক্রমে ৩০ টাকা এবং ৪০-৫০ টাকা, ছোলা ১০০-১১০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি।
তবে সুখবর মিলছে পেঁয়াজে। সরকার নির্ধারিত ৬৫ টাকার চেয়ে কম দামে ৪৪-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এছাড়া ছাগলের মাংস ৭০০-৯০০ টাকা, ডিম ৩৮-৪০ টাকা হালি, টমেটো ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, কাতলা মাছ ৩২০-৩৪০ ও পাঙাশ ২০০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহসীন আলী বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও সবক্ষেত্রে তা মানা সম্ভব নয়। বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকলে পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হয়। তাই খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে যায়।
যশোরযশোরের বাজারে বেশিরভাগ পণ্যই নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না। শহরের বড়বাজার ও রেলবাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতিকেজি মুগডাল ১৯০-২০০ টাকা, মাসকলাই ১৮০ টাকা, ছোলা ১০০-১১০ টাকা, মসুর ডাল (উন্নত) ১৪০-১৫০ টাকা, মসুর ডাল (মোটা) ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১২০ টাকা, পাঙাশ মাছ ২০০ টাকা, কাতলা ৪০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১১০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০, পেঁয়াজ ৬০ টাকা, রসুন ১১০-১২০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪০০-৪২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, আলুু ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা এবং খেজুর ২৫০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বড়বাজারে বাজার করতে আসা উপশহর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহাব মুকুল বলেন, ‘সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও সেই দামে পণ্য মিলছে না। প্রশাসন থেকে এর তদারকিও করা হচ্ছে না। বাজার মনিটরিং করে প্রশাসনের উচিত নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিত করা।’ রিকশাচালক আজিজ মিয়া বলেন, ‘টিভিতে দেখেছি সরকার অনেক জিনিসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সেই দামে কোনো জিনিস পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা তাদের দামেই জিনিস বিক্রি করছেন।’
কুমিল্লাকুমিল্লায় ডিম ও বেসন ছাড়া বাকি ২৭টি পণ্যই পূর্ব নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে। নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় সবজি ও মুদিদোকান ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৭০-১৮০ টাকা, আমদানিকৃত ছোলা ১১০-১২০, মসুরডাল (উন্নত) ১৩৫-১৪০, মসুর ডাল (মোটা) খুচরা ১১০-১২০, চাষের পাঙাশ মাছ ২০০-২২০, চাষের কাতলা মাছ ৪০০-৫৫০, গরুর মাংস ৭৫০-৮০০, ছাগলের মাংস ১১০০-১১৫০, ব্রয়লার মুরগি ২০০, সোনালি মুরগি ৩০০, প্রতিপিস ডিম ১০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০-৯০, দেশি রসুন ১৫০-১৬০, আদা ২০০-২২০, শুকনা মরিচ ৪৫০-৪৮০, কাঁচা মরিচ ১০০, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৪০, বেগুন ৫০, শিম ৬০, আলু ৩৫-৪০, টমেটো ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, জাহিদি খেঁজুর ৩০০, মোটা চিড়া ৭০, সাগর কলা হালি ৪০ ও বেসন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি।
আবদুস সালাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘কী আর বলবো! নিত্যপণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এক হাজার টাকা নিয়ে বাজারে এলে পরিবারের দুই দিনের বাজার করা দায়। আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকদের সংসার চলানো দিনদিন কঠিন থেকে কঠিন হচ্ছে।’
কুড়িগ্রামজেলার জিয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুগ ডাল ৭০-৭৫ টাকা, মাসকলাই ১৫০-১৭০ টাকা, ছোলা ১০৫-১১০ টাকা, মসুর ডাল (উন্নত) ১৩০-১৩৫ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৬০-২০০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা, ছাগলের মাংস ৯৮০-১০৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৮০-২১০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৭০-৩০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫৫-৭০ টাকা।
তবে কাঁচা মরিচ ৪৫ টাকা, রসুন ১১০ টাকা, বেগুন ১০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, আলু ২৫-৩০ টাকা, লাউ পিস ১০ টাকা দরে বিক্রি দেখা গেছে।
বাজার করতে আসা নুর ইসলাম বলেন, ‘২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। আমার মতো অনেকেরই বিষয়টি অজানা। নির্ধারিত দামের ওপর প্রচার-প্রচারণা চালালে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।’
পটুয়াখালীপটুয়াখালীতে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার ২২০ এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। একইভাবে আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য কেজিতে ১০-১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ২০ টাকা, শিম ৫০, শসা ৫০, বেগুন ৪০, ফুলকপি ৪০, পেঁপে ৫০, গাজর ৩০, টমেটো ৪০ এবং কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গাচুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস ৬৮০-৭৫০ এবং খাসির মাংস ১০০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার, সোনালি, লেয়ার মুরগি এবং মাছের বাজার অনেকটা স্বাভাবিক। তবে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে ৭০-৯০ টাকা কেজি দরে। ২৮ টাকা মূল্যের আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেশি দামে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসআর/জিকেএস