তুরস্কের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে পাঁচ শিশুসহ অন্তত ২১ জন মারা গেছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Advertisement
শুক্রবার (১৫ মার্চ) তুরস্কের কানাক্কালে প্রদেশের গভর্নর ইলহামি আকতাস আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, উপকূলে আটজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত চারজনকে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, নৌকাডুবিতে নিহতের সংখ্যা ২১ জন বলে নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
তুর্কি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাটি গ্রিক দ্বীপ লিমনোস থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে তুর্কি জলসীমায় ডুবে যায়।
গভর্নরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্যান্য অভিবাসীদের উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে দ্রুত কোস্টগার্ড এবং নৌ পুলিশকে পাঠানো হয়। হেলিকপ্টার এবং প্লেনের সাহায্যে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নৌকাটি তুরস্কের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গোকসেদা বা ইমব্রোস নামে এলাকায় ডুবে গেছে, যা দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কানাক্কালের উপকূলে অবস্থিত। তবে ঠিক কী কারণে সেটি ডুবে গেছে এবং কতজন অভিবাসনপ্রত্যাশী নৌকাটিতে ছিলেন, তা নিশ্চিত নয়।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
এজিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে গ্রিসে পৌঁছাতে গিয়ে নিয়মিত ঝুঁকিতে পড়েন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। গত বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি তুরস্কের ইজমির উপকূলে নৌকা ডুবে অন্তত পাঁচজন মারা যান। ওই এলাকাটি গ্রিক দ্বীপপুঞ্জ চিওস এবং সামোসের পাশ্ববর্তী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগরে তিন হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছেন। এই সংখ্যা ২০১৭ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এই রুটে ৩৬০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।
সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টসকেএএ/