গত সপ্তাহে ন্যু ক্যাম্পে গিয়ে হেরে এসেছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তবে হারলেও ঠিকই একটা বড় অর্জন নিয়ে তারা ফিরেছিল ভিসেন্তে কালদেরনে। একটি গোল প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়েছিল তারা। পরাজয়ের ব্যবধান ২-১। সুতরাং, নিজেদের মাঠ কালদেরনে বার্সাকে কোনোমতে ১-০ গোলে হারাতে পারলেই কেল্লাফতে। অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে অ্যাটলেটিকোই উঠে যাবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে।কিন্তু এতো সন্দেহের অবকাশ রাখতে রাজি নন দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। সুতরাং, ১-০ গোলে নয়, ২-০ গোলেই সফরকারী বার্সেলোনাকে হারিয়ে দিলো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের মতো তারকায় ঠাসা দলটিকে নিয়ে যেন ছেলেখেলা করলো অ্যাটলেটিকো। মেসি-নেইমার না থাকুক, অ্যাটলেটিকোর যে একাই একশ- আন্তোনি গ্রিজম্যান রয়েছেন! তার জোড়া গোলেই বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় বার্সার।একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত করে তোলে বার্সার রক্ষণভাগ। বার্সার ভাগ্যভালো যে গোল হজম করার পরিমাণ আরো বাড়েনি। ৩৬ মিনিটেই দুর্দান্ত এক হেডে বার্সেলোনার জাল কাঁপিয়ে তোলেন আন্তোনি গ্রিজম্যান। সাউল নিগুয়েজের দারুণ এক ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে বুলেটের গতিতে হেডটি নেন তিনি।১-০ ব্যবধানে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরো বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে অ্যাটলেটিকো। একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে বার্সার রক্ষণবুহ্যে। শেষ পর্যন্ত ৮৮ মিনিটে গিয়ে পেনাল্টির মাধ্যমে সফল হয় অ্যাটলেটিকো। ৮৭ মিনিটে নিজেদের ডি বক্সে হাতের মধ্যে বল লাগিয়ে বসেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতেই স্পট কিক নিতে আসেন আন্তোনি গ্রিজম্যান। মার্ক অ্যান্ডার টার স্টেগানকে ফাঁকি দিতে মোটেও কষ্ট হয়নি তার।দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। রিয়ালের পর মাদ্রিদেরই আরেকটি ক্লাব অ্যাটলেটিকো উঠে গেলো সেমিফাইনালে। দিনের অপর ম্যাচে বেনফিকার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে থাকায় সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো বায়ার্ন মিউনিখ।আইএইচএস/বিএ
Advertisement