অস্ট্রেলিয়ায় একটি সোনার খনি ধসে অন্তত একজন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। খনির এক কর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে ১০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত বালারাট এলাকাটি সোনার খনির জন্য বিখ্যাত। সেখানে একাধিক সোনার খনি রয়েছে। শহরটিতে বসবাসকারীদের অধিকাংশই সোনার খনির কাজের সঙ্গে জড়িত।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গত বুধবার,(১৩ মার্চ) ওই এলাকার একটি সোনার খনিতে আচমকা পাথর ধসে পড়ে। সেসময় খনির ভেতর বহু শ্রমিক কাজ করছিলেন। ধসের পর ২৯ জন শ্রমিক খনির ভেতরে নিরাপদ খাঁজে আশ্রয় নেন। কিন্তু দুজন শ্রমিক পাথরে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
প্রায় চার ঘণ্টা পরে আহত একজনকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু অন্যজন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের বয়স ৩৭ বছর। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। অন্য শ্রমিকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, চাইলে এই পরিস্থিতি এড়ানো যেতো। প্রথমত, খনিটি অনেকদিন বন্ধ ছিল। ফলে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছিল না।
দ্বিতীয়ত, যে পদ্ধতিতে শ্রমিকেরা খনিতে নেমে কাজ করছিলেন, তা ঠিক পদ্ধতি ছিল না। এই পদ্ধতিতে ঝুঁকি অনেক বেশি।
Advertisement
আরও পড়ুন>>
‘গোল্ডেন ভিসা’ বাতিল করলো অস্ট্রেলিয়া, বাড়বে কর্মী ভিসা অভিবাসী গ্রহণ অর্ধেকে নামাবে অস্ট্রেলিয়া, ইংরেজিতে বাড়ছে কড়াকড়ি টানা বৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যাখনির কর্মকর্তারা অবশ্য এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। ধসের পরে খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় প্রশাসন হস্তক্ষেপ করার পরেই খনি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মন্তব্য করে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় মেয়র বলেছেন, ওই এলাকায় একাধিক খনি রয়েছে। বাকিরা যেন এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়।
সূত্র: ডয়েচে ভেলেকেএএ/