সুমন মজুমদার
Advertisement
‘শেষ হইয়াও হইলো না শেষ’ সময় পেরিয়ে বাংলা ছোটগল্প এখন নতুনদের হাত ধরে নানা রকম নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সে নিরীক্ষা ঠিক উপায়ে হচ্ছে নাকি ভুল পথে, তা নিয়ে তর্ক থাকতে পারে। কিন্তু নিরীক্ষা চেষ্টার সততাকে শ্রদ্ধা দেখাতে আমার অন্তত কার্পণ্য নেই।
জোবায়ের মিলনের ‘দগ্ধা অথবা না গল্পের ছায়া’ বইটি শেষ করে তেমন একটি নিরীক্ষা চেষ্টাকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই লেখা। বইটিতে প্রুফ এবং সম্পাদনাগত কিছু ত্রুটি বিদ্যমান, কিন্তু যদি কনটেন্টের দিকে ফিরি তাহলে তা প্রভূত সম্ভাবনাময়।
বলা হয়, প্রতিটি মানুষের জীবন এক-একটি বড় গল্প আর জীবনের প্রতিটি বাঁক এক-একটি গল্পের প্লট। ‘দগ্ধা অথবা না গল্পের ছায়া’র গল্পগুলো পড়তে পড়তে যেন নানা রকম মানুষের তেমনই জীবনের বিচিত্র বাঁক দেখতে পাচ্ছিলাম।
Advertisement
গ্রন্থটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে—‘সৌরভের সন্ধানে’, ‘আবু ইসহাকের এক বিকাল’, ‘প্রত্যাবর্তন’, ‘নেকড়ে নদী ও কাবেরী রায়’, ‘কুয়াশা কর্পুর—কাল—অন্ধকারের জীবাশ্ম’, ‘আদিম অনস্বীকার্য’, ‘অন্তঃশীলা ও একটি চুক্তিবিন্যাস’, ‘জীবনঘানি’, ‘কাঠপেন্সিল’, ‘দায় মোচন’, ‘দগ্ধা অথবা না-গল্পের ছায়া’ এবং ‘একটি শোনা গল্প ও উত্তরাধুনিক যুগের জরবস্তু’সহ মোট ১২টি গল্প।
আরও পড়ুন
ছোট কাগজ ‘সারেঙ’: বাংলা সাহিত্যের অগ্রপথিক বাংলা সাহিত্যে শিল্পপ্রবণতা: নির্মোহ পর্যবেক্ষণ‘আদিম অনস্বীকার্য’, ‘জীবনঘানি’, ‘নেকড়ে নদী ও কাবেরী রায়’ গল্পগুলো যেন ভিন্নরকম ভাবনা ভাবায়। কখনো আবার আমানত গাজীর মতো নিজের ভেতরের অন্তর্গত পচনের তীব্র গন্ধও নাকে লাগে।
জোবায়ের মিলন মূলত কবি হলেও ভালো যে গল্পের ভাষায় তিনি অকারণ কাব্যভাব, উপমার বাড়বাড়ন্ত এড়াতে পেরেছেন। এখন সময় ভাবনাকে আরও নীরিক্ষার মধ্য দিয়ে নেওয়া। আশা করি পরবর্তীতে তার কাছ থেকে আরও সুসম্পাদিত দুর্দান্ত কিছু পাবো।
Advertisement
বইয়ের নাম: দগ্ধা অথবা না গল্পের ছায়ালেখকের নাম: জোবায়ের মিলনপ্রকাশনী: স্বপ্ন’৭১ পাবলিকেশন্সপ্রচ্ছদ: নিয়াজ চৌধুরী তুলিপ্রকাশকাল: বইমেলা ২০২৪মূল্য: ২৫০ টাকা।
এসইউ/এমএস