সোমালিয়ায় বাংলাদেশি জাহাজ অপহরণের ঘটনায় জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিক সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি রয়েছেন। জিম্মি থাকা ২৩ জনের মধ্যে ২ জনের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে।
Advertisement
তারা হলেন- উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মোশারফ হোসেন শাকিল ও ইছাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ ভূঁইয়া গ্রামের সুজাউল হক ভোলা মিয়ার ছেলে আইনুল হক অভি। তবে তারা সপরিবারে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি থাকেন। মোশারফ হোসেন শাকিল নাবিক ও আইনুল হক অভি ওয়েলম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আইনুল হকের বড় ভাই মুন্না বলেন, আমাদের সঙ্গে মঙ্গলবার রাত ৮টায় শেষ কথা হয়েছে। তখন সে বলেছে, ‘আমাদেরকে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ওইখানে যেতে দুই থেকে তিন দিন লাগবে। আমাদের মোবাইলসহ সবকিছু নিয়ে ফেলবে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ আমরা সকালে কেএসআরএম গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা যোগাযোগ করছে।
শাকিলের বড় ভাই আবু বক্কর জানান, গতকাল রাত ৮টায় শেষ কথা হয়। সে বলেছে, ‘আমাদের জলদস্যুরা আটক করে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, বেঁচে ফিরলে দেখা হবে।’
Advertisement
এদিকে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া শাকিল ও আইনুলের বাড়িতে চলছে আহাজারি। পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। সবার দাবি, বাংলাদেশ সরকার যেভাবেই হোক তাদের যেন জীবিত ফিরিয়ে আনে।
করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, আমার ইউনিয়নের মোশারফ হোসেন শাকিল নামে একজন সোমালিয়ায় আটক জাহাজে রয়েছে। তাকে ফিরে পেতে পরিবারের লোকজন আকুতি করছে। আমরা যতটুকু দেখছি সরকার তাদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি আটক হওয়া সবাই দেশে ফিরে আসবে।
মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা বাংলাদেশের পতাকাবাহী ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামের জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যায়। পণ্যবাহী জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। মঙ্গলবার (মার্চ ১২) দুপুর ১টার দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে কর্তৃপক্ষ।
এম মাঈন উদ্দিন/এফএ/এমএস
Advertisement