ওপেনিং জুটিতে ৭১ রান তুলে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। তখন খেলা শেষ হয়নি ১০ ওভারেরও। এমন ঝোড়ো শুরুর পর বোলিংয়ে এসে ১৩ রানের মধ্যেই লঙ্কানদের ৩ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের পেসার তানজিম সাকিব। এরপর থেকেই চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
Advertisement
তানজিমের পর লঙ্কানদের ওপর স্টিমরোলার চালান বাকি দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। তারাও নেন ৩টি করে উইকেট। তিন পেসারের দাপুটে বোলিংয়ে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতেই লঙ্কানরা অলআউট হয়ে যায় ২৫৫ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে ৬৯ রানের দারুণ জুটি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এরপর ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ১৬৫ রানের রেকর্ড জুটি করে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। লঙ্কানদের বিপক্ষে এই ম্যাচে টাইগাররা জয় পায় ৬ উইকেট আর ৩২ বল হাতে রেখেই।
Advertisement
তবে ম্যাচ জেতানো ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেও বোলারদের কৃতিত্ব দিতে ভুল করেননি মুশফিক। তিন পেসারের কারণেই জয় পাওয়া সহজ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।
ম্যাচের পর তানজিমের দুর্দান্ত বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন মুশফিক। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার মনে করেন, তানজিমের ৩ উইকেটই খেলার মোড় ঘুুরিয়ে দিয়েছে। যে কারণে, লঙ্কানদের কম রানের মধ্যে আটকাতে পেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে পেয়েছে সহজ জয়।
আরও পড়ুন
শান্ত-মুশফিকের রেকর্ড জুটিতে দাপুটে জয় বাংলাদেশের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে দলকে জিতিয়ে ম্যাচসেরা শান্তম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বোলিং নিয়ে মুশফিককে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এ সময় তানজিমের বোলিংয়ের প্রশংসায় মুশফিক বলেন, ‘সাকিব (তানজিম) পুরো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে, টার্নিং পয়েন্ট ওই জায়গাটাই। ৩টা উইকেট খুব ভালো সময়ে নিয়েছে।’
Advertisement
‘যদি ভুল না করি, শেষ ওয়ানডেতেও ও (তানজিম) ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছে। ও (তানজিম) যে বোলিং করে, প্রথম থেকেই শুধু উইকেট নেওয়ার জন্য না। ওর যে ইচ্ছা আর ওয়ার্ক ইথিকস। পেস বোলারদের মধ্যে এমনটাই থাকতে হয়। একজন তরুণ যখন এসেই… প্রক্রিয়া, খাওয়াদাওয়া, ফিটনেস বা ওয়ার্ক ইথিক… সবসময় চেষ্টা করে। আগ্রাসন, চেষ্টা এগুলো অনেক বড় ফ্যাক্ট। তরুণ কেউ এসব করলে দলের জন্য বাড়তি পাওয়া। ভালো অভ্যাস নিয়ে এই পরিবেশে আসলে আপনাকে আর শেখাতে হবে না।’-যোগ করেন মুশফিক।
একই সময়ে তাসকিন আহমেদ ও শরিফুলের প্রশংসাও করেন মুশফিক। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার বলেন, ‘তাসকিন যেভাবে কামব্যাক করেছে, শেষদিকে শরিফুল… সব মিলিয়ে বোলিং এবং ফিল্ডিং এফোর্ট আউটস্ট্যান্ডিং ছিল। ২৫৫ রান আমরা জানতাম শুরুর দিকে একটু কঠিন হবে, তবে প্রথম চ্যালেঞ্জ উতরে গেলে… আমরা যেন ইনিংস বড় করতে পারি আর পার্টনারশিপ বড় হয়। ওয়ানডে ক্রিকেটে টপ ফোর থেকে কেউ ক্যারি করলে ৯০ শতাংশ দল জিতবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উইকেট নিয়েও প্রশ্ন করা হয় মুশফিককে। প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘উইকেটে শুরু থেকেই যথেষ্ট সহায়ক ছিল। আমাদের প্রথম স্পেল আহামরি ভালো হয়নি। শরিফুল গত এক-দেড় বছর ধরে মাশাআল্লাহ খুব ভালো করছে, তাসকিনও ভালো করছে। পরিকল্পনা হয়তো বাস্তবায়ন হয়নি। কিন্তু যেভাবে কামব্যাক করেছে, আউটস্ট্যান্ডিং।’
এমএইচ/এমএস