দেশজুড়ে

নাবিক নাজমুলের জিম্মির খবরে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে বাবা-বোন

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে বাংলাদেশি পণ্য বহনকারী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের মধ্যে রয়েছেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার নাজমুল হক (২৩)। একমাত্র ছেলের এমন বিপদের কথা শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত বাবা আবু সামা (৫৯) ও বোন লিপি খাতুন (৩৩) অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছেন নাবিক নাজমুলের মা নার্গিস খাতুন।

Advertisement

বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের চরনুরনগর গ্রামে নাজমুলের বাড়িতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ছেলে নাজমুলকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে মা নার্গিস খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, “ছেলে রাত ১১টার দিকে কল দিয়ে কয়, ‘মা, আমাদের ২৩ জনকে আটকে রেখেছে। আমাদের জন্য দোয়া করো’। এই বলে ও ফোন কেটে দেয়।”

নাজমুলের বাল্যবন্ধু কাউসার আলী ইমন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সালে একসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছি। এরপর নাজমুল জাহাজে চাকরি নেয়। গতবছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে কাজ শুরু করে।’

Advertisement

প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘অনেক কষ্টে নাজমুলের এ চাকরি হয়েছিল। এতে ভালোই চলছিল ওদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ এমন খবরে ওর বাবা আজ সকাল ১০টার দিকে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাবার অজ্ঞান হওয়ার পর মেয়ে লিপিও অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘এক ভাই এক বোনের মধ্যে নাজমুল ছোট। সে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছে। তার বাবা কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন। বোনেরও বিয়ে হয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম নাজমুল। তার কিছু হয়ে গেলে তাদের আর চলার উপায় থাকবে না। এজন্য সরকারের কাছে দাবি, নাজমুলসহ সবাইকে যেন জিম্মিদশা থেকে দ্রুত মুক্ত করে আনা হয়।’

এম এ মালেক/এসআর/জিকেএস

Advertisement