ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দখলে নিয়ে নাবিকদের জিম্মি করেছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। তাদের হাতে জিম্মি ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। আটকদের মধ্যে রয়েছেন বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বিসারাকান্দি ইউনিয়নের উমারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হোসাইন মো. আলী।
Advertisement
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দুইমাস আগে বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিক হিসেবে যোগদান করেছিলেন আলী।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়লাবোঝাই জাহাজ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি। জিম্মি করা হয় জাহাজে থাকা বাংলাদেশি ২৩ জন নাবিক ও ক্রুকে।
আরও পড়ুন
Advertisement
জলদস্যুরা যখন জিম্মি করে তখন ফোনে বার্তা দিয়ে পরিবারকে আলী জানিয়েছিলেন, হয়তো মুক্তি পাওয়ার আগে আর যোগাযোগ হবে না। এ কথা শোনার পর থেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে তার পরিবার।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাবিক আলীর স্ত্রী ইয়া মনি বলেন, কোরবানির ঈদে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল আলীর। পরিকল্পনা ছিল দুজন মিলে ঈদের ছুটিতে কোথাও ঘুরতে যাবেন। এখন স্বামীর প্রাণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের জুলাইয়ে বিয়ে করেছিলেন আলী। ২০১৪ সালে মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়ে ভর্তি হন নারায়ণগঞ্জের মেরিন একাডেমিতে। সেখানে চার বছর পড়ালেখা শেষ করে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন ২০২০ সালে।
সবশেষ দুইমাস আগে এসআর শিপিং লিমিটেডের নিজস্ব খরচে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে এমভি আবদুল্লাহ নামের ওই জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজ শুরু করেন হোসাইন আলী।
Advertisement
শাওন খান/এসআর/জিকেএস