শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসে সূর্যোদল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সন্ধ্যায় সূর্য ডোবার পরপরই পরিবার-পরিজন নিয়ে ইফতার করতে বসেন তারা। এসময় খেজুরসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের চাহিদা থাকে বেশ। এ কারণে বেড়ে যায় ফলমূলের চাহিদা, সেই সঙ্গে বাড়ে দামও। এবারও রমজানের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গের বাজারগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী ফলের দাম।
Advertisement
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের খুচরা ফল বিক্রেতা বিনয় দাশ দাবি করেছেন, চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় ফলের দাম একটু বেশি। আর রমজান মাসে ফলের দাম বরাবরই কিছুটা বেশি থাকে, এটি ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে এক কেজি জামরুল বিক্রি হচ্ছে ১০০ রুপিতে। কোথাও একটু আকারের জামরুলের দাম হাঁকা হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৫০ রুপি। প্রতি কেজি তরমুজ ৩০ রুপি।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
আপেলের দাম কেজিপ্রতি ২০০ রুপি। তবে তুরস্ক, আমেরিকা ও কাশ্মীরের আপেল বিক্রি হচ্ছে ৪০০ রুপিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার আপেলেল দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ রুপি।
ব্লুবেরি এক বাক্স ৩০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। কিউইর দাম একেকটা ৬০ রুপি। আঙ্গুর প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ রুপি। কালো আঙ্গুরের দাম কেজিপ্রতি ২০০ রুপি।
প্রতি কেজি বেদানা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ রুপিতে। আনারস একেকটার দাম ৯০ রুপি। পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ রুপি। ড্রাগন ফল (সাদা) প্রতি কেজি ২০০ রুপি, লাল রঙের ড্রাগন ফল ৩০০ রুপি প্রতি কেজি। চেরি ফল প্রতি কেজি ২ হাজার ৫০০ রুপি। পেয়ারা প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৫০ রুপি।
ইফতারে খেজুরের কদর থাকে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চলগুলোতে সৌদির খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি বাক্স ২৫০ রুপি। লোকাল খেজুর কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৮০ রুপি থেকে ২৩০ রুপি।
Advertisement
আরও পড়ুন>>
রমজানে ৯৩ দেশকে খেজুর উপহার দিয়েছে সৌদি আরব এবারও রমজানের আগে ৯০০ পণ্যের দাম কমালো কাতার খরচ বাড়লেও রমজানে পণ্যের দাম বাড়াবেন না আমিরাতের ব্যবসায়ীরাফল না হলেও ইফতারে আরেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান শসা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ রুপিতে।
শিয়ালদহের ফল বিক্রেতা জুয়েল চৌধুরী বলেন, ফলের দাম খুব বেশি বাড়েনি। রমজান মাসে সব ফলেরই জোগান ভালো। তরমুজ এতদিন প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ রুপিতে বিক্রি হয়েছে। সেই তরমুজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ রুপিতে। তবে আপেলের জোগান কম থাকায় দামটা একটু বেশি।
তিনি বলেন, রমজান মাসের শুরুতে মোটামুটি বেচাকেনা হচ্ছে। কয়েকটা রোজা পার হলে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছি।
রমজান উপলক্ষে ফল কিনতে আসা মোহাম্মদ মোজহার চৌধুরী বলেন, যে আপেল দু’দিন আগেও প্রতি কেজি ৩০০ রুপিতে কিনেছি, সেটি এখন ৪০০ রুপি চাইছে। যে পেয়ারা ৮০ রুপি দিয়ে কিনেছিলাম, সেগুলো চাচ্ছে ১৫০ রুপি। কীভাবে বলবো এত দাম কেন? কিন্তু ইফতারে ফল ছাড়া চলে না, তাই দাম বেশি থাকলেও অল্প করে নিয়ে যেতে হচ্ছে।
ডিডি/কেএএ/