রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে সৈন্য পাঠায়, তবে তা যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার একটি ষড়যন্ত্র বলে বিবেচিত হবে ও মস্কো তার উপযুক্ত জবাব দেবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র দুইদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের উদ্দেশে এই সতর্কবাণী দিলেন তিনি।
Advertisement
বুধবার (১৩ মার্চ) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, পারমাণবিক যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে তাড়াহুড়া নেই। ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রয়োজনীয়তাও তিনি দেখেন না।
তবে পুতিন কিয়েভের পশ্চিমা মিত্রদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রয়োজনয়ীতা এখন অনুভব না করলেও, কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বুঝতে পেরেছে যে যদি তারা রুশ ভূখণ্ডে বা ইউক্রেনে নিজেদের সেনা মোতায়েন করে, তাহলে রাশিয়া এটিকে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বা যুদ্ধে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করবে।
পুতিন বলেন, রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ও কৌশলগত সংযম রক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট সচেতন। অতএব, আমি মনে করি না যে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাই তাড়াহুড়ো করছে। তবে আমরা পারমাণবিক সংঘর্ষ জন্য প্রস্তুত।
Advertisement
১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণেই পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে গভীর টানা-পোড়েন শুরু হয়েছে। পুতিন বেশ কয়েকবার সতর্ক করে বলেছেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য সৈন্য পাঠালে সেটি পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করবে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকেও পারমাণবিক যুদ্ধের বিষয়ে পশ্চিমাদের সতর্ক করেছিলেন পুতিন। সেসময় তিনি বলেন, (পশ্চিমা দেশগুলোকে) অবশ্যই বুঝতে হবে আমাদেরও অস্ত্র আছে; যা তাদের ভূখণ্ডে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এসব সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার এবং মানব সভ্যতার ধ্বংসের হুমকি তৈরি করে। তারা কি তা বোঝে না।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ
Advertisement