জাতীয়

চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পণ্য পরিবহনসহ প্রত্যেক সেক্টরে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। সব ধরনের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। তিনি এ ক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং এবং পণ্যবাহী যানবাহনের নির্বিঘ্ন চলাচলের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, রমজান ও ঈদ সামনে রেখে কোনো ইস্যু তৈরি করে কেউ যেন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য সবাই সতর্ক থাকতে হবে।

Advertisement

আইজিপি বলেন, কোনো স্বার্থন্বেষী মহল সাইবার ওয়ার্ল্ডে গুজব ও অপপ্রচারের মাধ্যমে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য কর্মকর্তাদের তৎপর থাকতে হবে।

আইজিপি পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ ইউনিটকে নির্দেশনা দেন। বাসের ছাদে বা ট্রাকে যাতে যাত্রী পরিবহন করতে না পারে সেজন্য হাইওয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওযারও নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, রমজানে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইফতার, তারাবি এবং সেহরির সময় বিশেষভাবে সতর্ক ও সজাগ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

আইজিপি গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে যেন কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেজন্য শিল্প পুলিশকে তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।

Advertisement

সভায় আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস; ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিতব্য অনুষ্ঠানের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ তেন আইজিপি।

সভায় অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, র্যাব, এটিইউ, পিবিআই, হাইওয়ে পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, নৌ পুলিশের প্রধান, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, ডিআইজি (এফডিএমএন), সব জেলার পুলিশ সুপার এবং বিশেষায়িত ইউনিট নৌ, হাইওয়ে, রেলওয়ে, ট্যুরিস্ট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কমান্ডাররা ভার্চুয়ালি সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

টিটি/এমআইএইচএস/এমএস