প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির ভাস্কর্য চত্বরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় নৃত্যবিন্যাসে চারজন মহিয়সী নারীকে স্মরণের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়।
Advertisement
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে বরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম জাহান বলেন, এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী নারীতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রগতি ত্বরান্বিত হবে। নারীতে বিনিয়োগযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- নারীর সমতা, সক্ষমতা ও সুযোগের গুরুত্ব দেওয়া। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ হচ্ছে নারীর কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, নারী না থাকলে সভ্যতা তৈরি হতো না। আর ইতিহাস নারী-পুরুষ সবাই মিলেই তৈরি করে থাকে। মূল সমস্যা হচ্ছে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য। যা অনেক সময় সহিংসতা, ইভটিজিং ও অনাকাঙ্ক্ষিত অশ্লীল ঘটনার জন্ম দেয়।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু নারীদের অনেক সম্মান করতেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেসব নারী সম্ভ্রমহানি ও নির্যাতিত হয়েছিলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাদের বীরাঙ্গনা উপাধি দিয়েছিলেন। সেই নারীদের পরিবার ঠিকানা কিছুই ছিল না, বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতাকে সঙ্গে নিয়ে তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। নারীর উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমার দর্শন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী।
Advertisement
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান।
আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ। শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন।
জবির সমাজকর্ম বিভাগের ড. বুশরা জামান ও সংগীত বিভাগের মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আরএএস/কেএসআর
Advertisement