আন্তর্জাতিক

অবশেষে ‘বিতর্কিত’ নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করলো মোদী সরকার

লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে কার্যকর করা হলো ‘বিতর্কিত’ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়ে দিলো দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে সংসদে বিল পাস হওয়ার চার বছর পর চালু হলো এই সিএএ।

Advertisement

আইনে পরিণত হলেও প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে সিএএ-র ধারা-উপধারা যুক্ত হয়নি। ফলে বাস্তবে এই আইন কার্যকরও হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সই করার ছয় মাসের মধ্যে আইনের নির্দিষ্ট ধারা-উপধারা যুক্ত করতে হয়। অন্যথায় লোকসভা কিংবা রাজ্যসভার নির্দিষ্ট কমিটিগুলোর কাছে বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২০ সাল থেকে আইন কার্যকর করার সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে আসছিল।

মাস খানেক আগেই অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, সিএএ ভারতের জন্য জরুরি। অবশ্যই এই আইন আনা হবে। লোকসভা ভোটের আগেই তা কার্যকরও হবে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে সিএএ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি নরেন্দ্র মোদী।

২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই সংসদে সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদী সরকার। এই আইনের অধীনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যাওয়া শুধু অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেবে দেশটি।

Advertisement

এর আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (২০১৯)-কে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে ভারতের বিভিন্ন আদালতে। ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর সিএএ-র বিরুদ্ধে আর্জির প্রথম শুনানি শুরু হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। ওই বছরেরই ১১ ডিসেম্বর সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। তার পরেও অবশ্য ২০২০-র ১ জানুয়ারি বিলটি আইনে পরিণত হয়।

সূত্র: এনডিটিভ

এমএসএম

   

Advertisement